বিনিয়োগ ঝুঁকি, ইসরায়েল সফর বাতিল করছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো

একতরফাভাবে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে ঘোষণা দেয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়ের সাথে এবার নতুন মাত্রা যুক্ত করল কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যায় ও অযৌক্তির সিদ্ধান্তের ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তারা ইসরায়েল সফর বাতিল ঘোষণা করেছে। ফলে আর্থিক চাপের মুখে পড়বে ইয়াহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল।

বুধবার ট্রাম্পের ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে তাদের এমন ঘোষণা আসতে শুরু করেছে বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম হারেৎজ। খবরে বলা হয়েছে, চীন ও জাপানের একাধিক হাইটেক প্রতিনিধি দল ইসরায়েল সফর বাতিল ঘোষণা করেছে।

চীনের বৃহত্তম ইন্টারনেট কোম্পানি টেনসেন্ট-এর একটি প্রতিনিধি দলের ব্যবসায়িক কাজে ইসরায়েল সফল করার কথা থাকলেও তা বাতিল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জাপানি প্রতিষ্ঠান টয়োটা ইসরায়েলে প্রতিনিধি পাঠানো এবং সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানের জন্য যে তহবিল গঠন করেছিল তাও বাতিল করেছে তারা। রোববার টয়োটা প্রতিনিধিদের ইসরায়েল সফরের কথা ছিল।

ইসরায়েলে ক্ষুদে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবসা করে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনগুলাতো। ওই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ইসরায়েল সফল করার কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে সৃষ্ট সংকোটের ফলে পূর্বনির্ধারিত সফরের ছয় ঘণ্টা পূর্বেই তিনি ওই সফর বাতিল করেছেন। ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসরায়েলি উদ্যোক্তা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

অন্যদিকে দেশটির চীনা দূতাবাস থেকে এরইমধ্যে ইসরায়েল ভ্রমণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ সতর্কবার্তা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একই সাথে দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, হঠাৎ করে ট্রাম্পের নেয়া সিদ্ধান্তের ফলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে চীন উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে যে কোন সময় বড় ধরনের সঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে ইসরায়েলে এখন বিনোয়োগ ঝুঁকে তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ১০ থেকে ২০ শতাংশ পুঁজি আসে চীন থেকে। নিরাপত্তাজনিত কারণে যেভাবে চীন, জাপানের মতো দেশ তাদের বিনোয়োগ স্থগিত করে দিচ্ছে তা নিঃসন্দেহে অন্যান্য দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করবে। যা ইসরায়েলের অর্থনীতিরে জন্য বড় ধরনের ধাক্কা।