পরমাণু চুক্তি বাতিল হলে কী করবে ইরান?

ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইরানের সঙ্গে তার দেশের পরমাণু সমাঝোতা চুক্তি বাতিলের বিষয়টি বলে আসছেন। রয়টার্স জানিয়েছে, ১২ জানুয়ারির মধ্যে ইরানের সঙ্গে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি ট্রাম্প এ চুক্তি বাতিল করে দেন তবে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।

এ বিষয়ে ইরনা নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তরের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি বলেন, ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে গেলেও তার জন্য যেসব পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সেসবের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে ইরান।

মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি বলেন, ‘শুধু উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিই নয় বরং অর্থনৈতিক মন্দাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যও প্রস্তুতি নিয়েছে ইরান। তবে ওই চুক্তি থেকে ইরান আগে থেকে বের হবে না; আমরা চাই ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রই আগে বের হোক।’

প্রেসিডেন্টের দপ্তরের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ রাভাঞ্চি আরও বলেন, ‘পরমাণু সমঝোতা মেনে চলতে ইরান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সমঝোতা থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব ততক্ষণ পর্যন্ত ইরান এ প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে। আর চুক্তির সঙ্গে জড়িত বেশিরভাগ দেশই চায়- এ সমঝোতার মেয়াদ আরও বাড়ানো হোক।’

যা করার তাই করবে ইরান: এদিকে মঙ্গলবার তেহরান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসলামিক রেভুলেশনের শীর্ষ নেতা আলী আকবর বেলায়েতি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি পরমাণু সমাঝোতা চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় তবে ইরান যা করার তা-ই করবে। ইরানের সামনে তখন অনেক পথ অবলম্বনের সুযোগ হবে।’

বেলায়েতি বলেন, ‘ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বিভাজনের নীতি অবলম্বন করছে। তারা কুর্দিস্তানকেও ইরাক থেকে ভাগ করতে চায়। তাদের এ চাওয়া কখনও পূর্ণ হবে না।’ তিনি ইরাকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরালো করার আহ্বান জানান।