সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইএ?

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালামানের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা সিআইএ। ওয়াশিংটন পেস্টের খবরে বলা হয়, সংস্থাটি দাবি করছে ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে খাসোগিতে হত্যার নির্দেশ দেন যুবরাজ বিন সালমান।

তবে গত ২ অক্টোবর সৌদি শাসকদের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাসোগি ইস্তম্বুলের সৌদি দূতাবাসে ব্যক্তিগত কাজে প্রবেশ করে খুন হন। প্রথম দিকে সৌদি আরব বিষয়টি অস্বীকার করলেও প্রায় দু সপ্তাহ পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে এর সঙ্গে রাষ্ট্র কিংবা প্রিন্স বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করে আসছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী এই দেশটি।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস। তারা জানিয়েছে এটা গোয়েন্দা বিভাগের কাজ।

এদিকে সিআইএ’র সূত্র দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা তদন্তের শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডে মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে।

এক্ষেত্রে সংস্থাটি মোহাম্মদ বিন সালমানের ছোটভাই যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি রাষ্ট্রদূত খালিদ বিন সালমান ও খাসোগির ফোনকল প্রমাণ হিসেবে দেখছে।

সূত্রটি জানায়, সিআইএ এই ফোন কল বিশ্লেষণ করে জেনেছে, যুবরাজ খালিদ খাসোগিকে কনস্যুলেট ভবন থেকে কাগজপত্র আনার জন্য যেতে উৎসাহিত করেছিলেন। খালিদ তার ভাইয়ের নির্দেশে ওই ফোন করেছিলেন বলেও জানতে পেরেছে সিআইএ।

তবে এক টুইট বার্তায় খালিদ ওয়াশিংটন পোস্টের এ প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তার সঙ্গে ফোনে খাসোগির কথা হয়নি। এমনকি কোনো কারণেই তাকে তুরস্কে যেতে পরামর্শ দেইনি।’

তিনি আরও দাবি করেন, একমাত্র গত বছরের অক্টোবরে খাসোগির সঙ্গে তার এমএসএ কিছু কথা হয়।