বিশালাকার তিনটি আয়না বসানো হয়েছে ৪০০ মিটার উঁচু পাহাড়ের চূড়ায়। তাও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নরওয়েতে। দেশটিকে নিশীথ সূর্যের দেশও বলা হয়। সূর্যের আলোর অপর্যাপ্ততা থেকেই এমন অভিনব উদ্যোগ বলে জানা গেছে।

mountain town installs giant mirrors

ইউরোপের দেশ নরওয়ে প্রায় সারা বছরই শীতকাল, সূর্যের দেখা মেলাই ভার। তবে রাজধানী অসলো থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমের পাহাড়ি শহর জুকনের অবস্থা যেন আরো শোচনীয়। সুউচ্চ পাহাড়ের কারণে সূর্যের আলো প্রায় দেখাই মেলে না। পুরো শীত জুড়েই অন্ধকার আর শীতকালের অন্ধকার মানে যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিভাবে শীতে আলোর ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে যখন বিশেষজ্ঞদের চিন্তার শেষ নেই তখন মার্টিন আন্ডারসন নিয়ে এলেন পুরনো এক ভাবনা। ১০ বছর আগে তিনি এই ভাবনার কথা জানালেও প্রথম দিকে কেউ বিষয়টি কর্ণপাত করেনি। আলো পেতে পাহাড় তো আর সরানো যাবে না তাই আলো যদি পাহাড় থেকেই পাওয়া যায় তাতে মন্দ কি।

মার্টিন আন্ডারসনের আইডিয়াটি ছিলো 'পাহাড়ে আয়না' বসানোর যা প্রায় ১০ বছর পর বাস্তবায়িত হয়েছে। ৫০ ফুট দীর্ঘ তিনটি আয়না হেলিকপ্টারে করে ৪০০ মিটার উঁচু পাহাড়ে বসানো হয়। স্বপ্নের এই আয়না এমনভাবে বসানো হয়েছে যাতে শীতকালে সূর্যের দিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়নাগুলোও দিক পরিবর্তন করে ঠিকঠাক আলো দিতে পারে। কম্পিউটারে মাধ্যমে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আর অভিনব এই বুদ্ধির জন্য জুকনবাসী এখন ঘরে বসেই শীতকালে সূর্যের আলো পাচ্ছে।

গত ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে এই পুরো প্রক্রিয়া চালু হয় যা এখনো চলছে। শীতকালে সূর্যের আলো আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে জুকনে পড়ায় জনজীবনে যেমন স্বস্তি নেমে এসেছে তেমনি শুরু হয়েছে পর্যটকের ঢল। এতে খরচ হয়েছে সাত কোটি টাকার বেশি। তবে সারা বিশ্বকে তারা এও দেখিয়ে দিয়েছে অর্থ, মেধা আর প্রযুক্তি থাকলে সূর্যকেও ঘরে আনা যায়।

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.