সবুজ চায়ের রোগ প্রতিরোধী এবং উপকারি ভূমিকা

চা পান কমবেশি আমরা সবাই করে থাকি। কিন্তু চা এর উপকারিতা সম্পর্কে খুব কমই জানি আমরা। বিভিন্ন চায়ের মাঝে গ্রিন টি বা সবুজ চা অন্যতম। এই চা শুধুমাত্র ওজন কমাতেই না এটি আমাদের সু-স্বাস্থ্যের জন্যেও কার্যকরি ভূমিকা রাখে। আমরা আজ সবুজ চায়ের চমকপ্রদ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

সবুজ চায়ের উপকারিতা এতো বেশি যে আজকাল ডায়েট প্ল্যানে এই চা রাখা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। সবুজ চায়ে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং রোগ প্রতিরোধী উপাদান- পলিফেনলস, থিয়ানিন বিভিন্ন ভিটামিন। তাই এই চা কে আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য একটি অংশ হিসেবে দেখা উচিৎ।

সবুজ চা শরীরের মেটাবোলিজম বাড়িয়ে ফ্যাট ও ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং একটি হেলদি মেটাবোলিক রেট দিতেও সবুজ চা সহায়ক। যারা বিশেষত কোমরের ফ্যাট কমাতে ইচ্ছুক তাঁদের জন্য সবুজ চা বিশেষ উপকারী। তাই দ্রুত ওজন কমাতে সবুজ চা পান করুন নিয়মিত।

গবেষণা অনুযায়ী প্রতিদিন এক কাপ সবুজ চা স্ট্রোকের সম্ভাবনা তিনভাগের একভাগ কমিয়ে আনতে পারে। নিয়মিত সবুজ চা পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যাবে।

ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত সবুজ চা পান করা উচিৎ। রক্তের গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে সবুজ চা। খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে যা প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সবুজ চা।

গবেষণায় দেখা যায় গ্রিন টি শরীরের প্রতিটি শিরায় শিরায় কাজ করে থাকে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যায়। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পান করুন সবুজ চা।

নিয়মিত সবুজ চা পানে শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়াতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ করতে সবুজ চা দেহের জন্য অনেক উপকারি। এটি দেহের সকল রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। সবুজ চা দেহকোষকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে করে থিয়ানিন নামক অ্যামাইনো এসিড। এই উপাদান প্রকৃতিকভাবেই চা পাতাতে পাওয়া যায় তাই নিয়মিত সবুজ চা পান করলে টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

সবুজ চা খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক। বিশেষ করে ত্বক ও খাদ্যনালীর ক্যান্সারের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সবুজ চায়ে রয়েছে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে এবং আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের বলিরেখা দূর করতে, চোখের ফোলা ফোলা ভাব, ডার্ক সার্কেল, ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমাতে ও ব্ল্যাক হেডস দূর করতে রুপচর্চায় সবুজ চা ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া এটি টোনার হিসেবেও খুব ভালো কাজ করে থাকে।