মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের লক্ষণ ও করণীয়

শহর কিংবা গ্রাম মশার উৎপাত নেই এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর মশাবাহিত রোগগুলো তো এখন রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়ার মতো রোগগুলো মশার মাধ্যমেই ছড়ায়। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া তো ঢাকা শহরের রীতিমতো বীভিষিকা। আষাঢ় মাস চলছে তাই মশার উপদ্রব বেশি বলে সতর্কতাও জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশ ম্যালেরিয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ২২ কোটি মানুষ এতে আক্রান্ত হয়।

ম্যালেরিয়া হলে ১০৫/৬ ডিগ্রি জ্বরের পাশাপাশি অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। এটি প্রতিরোধে এখনো কার্যকর কোনো টিকা আবিষ্কার না হলেও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মশাবাহিত অন্য রোগটি হলো ডেঙ্গু। এর প্রধান লক্ষণ কাঁপুনিসহ জ্বর। আবহাওয়ার সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। তীব্র ব্যাথাও হয় ডেঙ্গু হলে। অনেক সময় জন্ডিস, পেটে ও বুকে পানি আসা, দাঁতের মাড়ি, নাক মুখ দিয়ে রক্তও পড়ে। ডেঙ্গুর সময় রোগীকে প্রচুর তরল খাবার দিতে হবে। অন্যান্য ওষুধ নয়, বরং প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে।

গত বছরই ঢাকায় মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ছিল মহামারি আকারে। প্রচণ্ড জ্বরের সাথে গিঁটে গিঁটে ব্যাথা এর প্রধান লক্ষণ। শারীরিক শক্তি কমে গিয়ে রোগী খুব দুর্বল হয়ে পড়ে এই জ্বরে। চিকুনগুনিয়ার ব্যাথা কয়েক মাস থেকে শুরু করে কয়েক বছর পর্যন্তও থাকতে পারে। পানির সেক ও হালকা ব্যায়াম গিঁটে ব্যাথার কিছুটা উপশম করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের চিকুনগুনিয়া বেশি হয়।

মশাবাহিত সকল রোগ থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতা জরুরি। আগাছা ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে। শিশুদের ফুল প্যান্ট পরাতে হবে এই আবহাওয়ায়। রাতে এমনকি দিনেও মশারি টানাতে হবে। মশার উৎপত্তি হয় সেসব জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। মোটকথা চিকিৎসার চেয়ে সচেতনতা বেশি জরুরি।