গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসের মধ্যে হাত পরিষ্কার রাখা অন্যতম। অসুস্থতা থেকে বাঁচতে হলে এটি করা জরুরি। অসুস্থতা থেকে বাঁচাতে হলে অতি সাধারণ এই কাজটা করতেই হবে। আমাদের জানা অনেক রোগই ছড়ায় হাতে থাকা জীবাণুর মাধ্যমে। অর্থাৎ সাবান এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত না ধোয়ার ফলে।

hand washing must for good health

মানুষ প্রায় অন্যমনস্কভাবে চোখ, নাক বা মুখে হাত দেয়। এভাবে হাতে থাকা জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। সাধারণত সবচেয়ে বেশী জীবাণু ছড়ায় টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ভালভাবে না ধোয়ার কারণে। ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ ই-কোলাই, নোরোভাইরাস এবং সালমোনেলার মতো জীবাণু। মানুষ এবং অন্যান্য পশুর বিষ্ঠায় থাকে এসব জীবাণু। শুধু ডায়রিয়া নয়, এডিনোভাইরাসের মত শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং হ্যান্ড-ফুট-মাউথ রোগের জন্য দায়ী এই জীবাণুগুলো। বাচ্চার ডায়াপার বদলানো বা টয়লেট থেকে এসে ভালভাবে হাত না ধুলে এই ধরনের জীবাণু ছড়ায়।

কাঁচা মাংস থেকেও হাতে এই জীবাণু আসতে পারে। আমাদের হাতে কফ, হাঁচি, কাশি, দুষিত কিছুর সংস্পর্শে আসলে জীবাণুর সংক্রমণ হয়। কিছু পরিবেশে খাবার অনেকক্ষণ থাকলে জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে পারে। সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়।

এক হাত থেকে অন্য মানুষের হাতে জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যম হল নানা রকম জিনিসপত্র, টেবিল, খেলনা, সিঁড়ির রেলিং ইত্যাদি। হাতের এই জীবাণু যদি না ধোয়া হয় তবে শুধু বাহকই নয় তার সংস্পর্শে আসা সবাই সংক্রমিত হতে পারে। কিছুক্ষণ পর পর হাত ধুলে শ্বাসনালীর সংক্রমণ, ত্বক, চোখের সংক্রমণ ও ডায়রিয়া থেকে বাঁচা যায়।

জীবাণুর সংক্রমণ রোধে এবং সুস্থ থাকতে আমাদের কখন কখন হাত ধোয়া উচিৎ?

প্রথমেই প্রয়োজন টয়লেট ব্যবহারের পর। বাবুর পায়খানা পরিষ্কার বা ডায়াপার বদলানোর পরও হাত ধোয়া উচিত। কিছু কিছু কাজের আগে এবং পরে হাত ধোয়া প্রয়োজন। যেমন, খাবার তৈরি, প্রয়োজনে মাঝখানেও ধোয়া যেতে পারে, খাওয়ার সময়, দেহের কাঁটা-ছেড়া-ক্ষতর চিকিৎসা, রোগীর সেবা ইত্যাদি। এছাড়াও হাঁচি দেবার পরে, নাক ঝাড়া, পশুপাখির খাবার বা বিষ্ঠা এবং আবর্জনা ধরার পর পানি ও সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত ধুতে হবে। পানি বা সাবানের পরিবর্তে কিংবা না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে হাত যদি বেশী রকমের ময়লা হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সমস্ত জীবাণু ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পুরোপুরি দূর করতে পারে না।

হাত ধোয়া জীবন বাঁচায়। ভালভাবে পরিস্কার করতে ভালোমতো হাত ধোয়া উচিৎ। শুরুতে পরিষ্কার পানিতে হাত ভিজিয়ে সাবান দিয়ে ঘষে ফেনা ফেনা করে আঙ্গুলের ফাঁক, নখ পরিষ্কার করে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ডলে পরিষ্কার করুন। চলমান পরিষ্কার পানিতে ভালো করে হাত ধুয়ে পরিষ্কার গামছা বা তোয়ালে দিয়ে হাত মুছে বা বাতাসে শুকিয়ে নিন।

শিশুদের হাত ধোয়ার অভ্যাস বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে তাদের রক্ষা করে। তাই বাচ্চাদের হাত ধোয়া শেখানোর মাধ্যমে এবং নিজেরা হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে আমরা সুস্থ থাকতে এবং রাখতে পারি।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.