‘পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার মানে মানবতার বিরুদ্ধে শত্রুতা’

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সতর্ক করে বলেছেন, ‘মস্কোর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করাকে মানবতার বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে দেখা হবে।’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক শক্তি প্রদর্শনকে গভীর বিরক্তিকর বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। খবর আরব নিউজ ও হিন্দুস্তানটাইমস।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা

২২ অক্টোবর, শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার দেওয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি এবং পুরো বিষয়টি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

বিশ্বে পরমাণু বোমায় আঘাতপ্রাপ্ত একমাত্র দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফুমিও কিশিদা। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমাতে অ্যাটম বোম ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর তিনদিন পর নাগাসাকিতেও একই ধরনের আঘাত হানা হয়। এতে সেখানে প্রায় দেড় লাখ লোক নিহত হয়। এছাড়া এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বহন করছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। আগামী বছরের মে মাসে ওই হিরোশিমাতেই কিশিদা জি ৭ সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র

অস্ট্রেলিয়ায় দেওয়া বক্তৃতায় কিশিদা আরও বলেন, গত ৭৭ বছর ধরে যে পরমাণু অস্ত্রের হামলাবিহীন বিশ্ব অতিবাহিত হচ্ছে, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে তা শেষ করে দেওয়া উচিত নয়। মস্কোকে আবারো হুঁশিয়ার করে তিনি উচ্চরণ করেন, যদি কখনো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা হবে মানবতার বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক কাজ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনোই এ ধরনের কাজ করতে দেবে না।

গত ফেব্রুয়ারির শেষ ভাগে রাশিয়া ইউক্রেন অভিযান চালাতে শুরু করেন। এর কয়েকদিন পরই পুতিন পরমাণু অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে তিনি ও তার সহযোগীরা বলতে থাকে, প্রয়োজন হলে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার থেকে পিছপা হবেন না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এসব কথা বলেন।