ভারতের প্রথম মুসলিম নারী যুদ্ধবিমান চালক

ভারতের প্রথম মুসলিম নারী যুদ্ধবিমান চালক হতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা। নামটি শুনলে সবাই প্রথমে টেনিস খেলোয়াড়ের কথা ভাবলেও এই সানিয়া মির্জা আসলে ভিন্নজন। তিনি উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার গ্রামের বাসিন্দা।

সানিয়া মির্জা

ছোট বেলা থেকেই সানিয়া মির্জার স্বপ্ন ছিল যুদ্ধবিমানের পাইলট হওয়া। প্রথমবারের চেষ্টায় অবশ্য তিনি সফল হননি। তবে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সেই অসাধ্য সাধন করলেন টিভি মেকানিক বাবার মেয়ে সানিয়া। ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির (এনডিএ) পরীক্ষায় তিনি ১৪৯তম স্থান দখল করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে মুসলিম নারীদের মধ্যে তিনি যেমন প্রথম হতে যাচ্ছেন, অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশেও তিনিই প্রথম নারী ফাইটারজেট পাইলট হতে চলেছেন।

সানিয়া মির্জার জন্য আকাশই সব কিছু। তিনি বলেন, আমি হিন্দি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছি। তারপরও ছোট থেকেই আমি ফাইটার পাইলট হতে চেয়েছিলাম। এজন্য এনডিএ পরীক্ষাও দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রথমবার হাতে সময় কম থাকায় পাস করতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়বারে আমি পাস করি এবং ইন্টারভিউয়েও সফল হই।

বাবার সাথে সানিয়া মির্জা

তিনি জানান, এনডিএ ২০২২ সালের পরীক্ষায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট আসন ছিল ৪০০টি। যেখানে নারীদের জন্য আসন ছিল মাত্র ১৯টি। আর ফাইটার পাইলটদের জন্য নারীদের কোটা ছিল মাত্র দু’টি। তার একটিতে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে তিনি মহারাষ্ট্রের পুণে জেলার এনডিএ একাডেমিতে প্রশিক্ষণে যোগ দেবেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সানিয়াই হবেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) প্রথম মুসলমান যুদ্ধবিমান চালক।

সানিয়ার বাবা শহিদ আলি বলেন, সানিয়া প্রথম থেকেই ফাইটার পাইলট হতে চেয়েছিল। তার সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো। তার কৃতিত্বে আমার পরিবার, গ্রামবাসী সবাই খুশি।

সানিয়ার সাফল্যে খুশি তার মা তাবাসসুম মির্জা বলেন, সানিয়া আমাদের পরিবার এবং পুরো গ্রামকে গর্বিত করেছে। সে তার ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। সে এখন গ্রামের প্রতিটি মেয়ের অনুপ্রেরণা।