অর্ধকোটি গাছ লাগানোর মিশনে আদামা

বেশ কয়েক বছর ইউরোপে কাটিয়ে নিজগ্রামে ফিরে হতবাক সেনেগালের আদামা দিয়েমে। গ্রাম যেন বিরাণভূমি, গাছপালা খুব একটা নেই। ছোটবেলার সেই বিশাল বিশাল গাছ, একটাও নেই। খুবই হতাশ হলেন আদামা।

গ্রামের সবুজ ফিরিয়ে আনতে সংকল্পবদ্ধ সেনেগালের আদামা দিয়েমে

হতাশা নিয়েই বসে থাকলেন না আদামা। সংকল্প করলেন, গ্রামে গ্রাম ফিরিয়ে আনবেন। গাছ লাগাবেন। আগামী পাঁচ বছরে অর্ধকোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন আদামা।

ইউরোপে কয়েক বছর কাজ করার পর ২০২০ সালে ক্যাসামান্স অঞ্চলে ফিরে এসে এমনই স্বপ্নদর্শী প্রকল্প হাতে নিয়ে এগোচ্ছেন আদামা দিয়েমে।

এমন উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিয়ে এরইমধ্যে এগিয়ে গেছেন আদামা। গত তিন বছরে এক লাখ ৪২ হাজারের বেশি চারা রোপণ করেছেন।

নিজের মিশন সম্পর্কে আদামা বলেন, কিছু গ্রামে, একটি গাছও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সবাই গাছগুলো কেটে ফেলে কিন্তু আবার কেউ লাগানোর কথা ভাবেন না।

বর্তমানে ক্যাসাম্যান্সে একটি স্প্যানিশ বেসরকারি সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করছেন আদামা। একইসঙ্গে কৃষি প্রশিক্ষক হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করছেন গ্রামের মানুষের জন্য।

নিজের অর্থসম্পদের বড় সঞ্চয় না থাকায় নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন আদামা। নিজের সঞ্চিত ৫ হাজার ডলার ব্যবহার করে সেরেছেন আগেই।

গাছ লাগানোর প্রকল্প সফল করতে সেনেগালের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন আদামা। বিশেষ করে চারা রোপনের জন্য কাজে লাগাচ্ছেন নারীদের।

দিমে বলেন, আমি বিশ্বাস জানতাম, নারীরা চারা রোপণের বিশাল আয়োজনের চ্যালেঞ্জ পূরণে সক্ষম হবেন। কোনো গ্রামে একজন নারী থাকলেও ওই এলাকাকে স্বর্গে পরিণত করতে পারেন একজন নারীই। কারণ, নারীরা কঠোর পরিশ্রমী। তাই কোনো প্রকল্প সফল করতে নারীদের কাজে লাগাতে হয়।

দিমে বলেন, খেজুর, তেঁতুল, লেবুসহ ১২ ধরনের গাছ রোপন করা হচ্ছে। যাতে নারীরা গাছ লাগানোর সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হতে পারেন। সূত্র: বিবিসি।