সার্কিট বোর্ডে পাওয়া যাবে সোনা!

পুরনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে সোনা! বিষয়টা অনেকটা 'যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন' কিংবা বলা যায় আলিবাবার গুহার গুপ্তধনের মত। এবার রাশি রাশি সোনা মিলতে পারে কম্পিউটার, টেলিভিশন, স্মার্টফোন থেকেই! বিজ্ঞানীরা অন্তত সে রকমটাই জানাচ্ছেন।

পরিবেশবান্ধব সমাজ গড়ার লক্ষ্যেই লন্ডনের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই দিকটি নিয়ে ভেবেছেন বলে জানিয়েছেন। কীভাবে পুরনো জিনিসপত্র থেকে সোনা মিলতে পারে, তাঁরা এটি নিয়েই এগিয়েছেন। সোনার খনি নয় পুরনো ফেলে দেয়া জিনিসপত্র থেকে সোনা পাওয়া গেলে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের মান কমবে৷ এতে অন্যদিকে বাড়বে অক্সিজেনের পরিমাণ৷ এমনকি কোনওরকম বিষাক্ত রাসায়নিকও ব্যবহৃত হয়নি তাদের গবেষণায়।

বৈদ্যুতিন বর্জ্য অর্থাৎ পুরনো টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইলসেট এসবের মধ্যেই পৃথিবীর ৭% সোনা লুকিয়ে আছে। প্রতি বছর বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে মোট ৩০০ টনেরও বেশি সোনা ব্যবহৃত হয়৷ রসায়নবিদরা গবেষণাগারে সার্কিট বোর্ড থেকে সোনা নিষ্কাশনে সক্ষম হয়েছেন কারণ পুরনো যন্ত্রপাতির সার্কিট বোর্ডই এর উৎস৷ গবেষকরা একটি ছোট পদ্ধতিতে কাজটি করেছেন। কিন্তু সোনা নিষ্কাশনের এই পদ্ধতির বেশ কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে যা স্বাস্থ্য সমস্যা সংক্রান্ত। আর এই স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হল বিষাক্ততম সায়ানাইড৷ এই পদার্থের কারণেই গবেষণা সামনে এগোতে পারছে না৷

বিজ্ঞানীরা এই জটিল রসায়নের সমস্যা সমাধানে নিষ্কাশন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে একটি নতুন পদার্থ আবিষ্কার করেছেন। যার মাধ্যমে সহজ উপায়ে সোনা নিষ্কাশন করা সম্ভব হয় তুলনামূলক ভাবে৷ সার্কিট বোর্ডগুলো মৃদু অ্যাসিডে দিয়ে ধাতব অংশগুলি গলানো হয়। এরপরই তৈলজাতীয় একটি রাসায়নিক যোগ করা হয় যা ওই জটিল মিশ্রণ থেকে সোনাকে আলাদা করে ফেলে।

গবেষকরা জানান, 'সমাজ ও অর্থনীতির উপকারের দিকটিই মাথায় রেখেই বৈদ্যুতিন বর্জ্য ব্যবহার করছি আমরা।'

আপনি আরও পড়তে পারেন

রেকর্ড: পোশাকের দাম ৩৮ কোটি টাকা

রাজমিস্ত্রির অ্যাকাউন্টে একদিনে ৬২ লাখ টাকা!

আকাশ থেকে পড়লো নীল বরফ

মাত্র এক টাকায় ভাত-মাংস!

চোর নিয়ে গেল ‘দেবতা’র চুল!