এবার ব্রিটেন সফরে জেলেনস্কি, কাল যাবেন ব্রাসেলসে

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রিটেন সফরে গেছেন। যুদ্ধ শুরুর পর দেশের বাইরে এটা তার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন তিনি। আগামীকাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দপ্তর ব্রাসেলস সফর করবেন জেলেনস্কি।

বিমানবন্দরে জেলেনস্কিকে স্বাগত জানান ঋষি সুনাক

ব্রিটেন সফরে দেশটির রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জেলেনস্কি। তার সফরকে ঘিরে ব্রিটেন রাশিয়ার ওপর নতুন আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একইসঙ্গে দেশটি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে।

স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১১টায় লন্ডনের স্ট্যানস্টিড বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জেলেনস্কি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তাকে সেখানে স্বাগত জানান। এরপর দুই সরকারপ্রধান একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার দেশে ইউক্রেনের সৈন্যদের জন্য চলমান প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছেন। এখন থেকে ইউক্রেনের জেট পাইলট ও মেরিন সেনাদের জন্যও ব্রিটেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জেলেনস্কি সেদেশে প্রশিক্ষণরত ইউক্রেনীয় সেনা ইউনিটের সদস্যদের দেখতে যান। পরে বিকেলে তিনি রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

জেলেনস্কির সফর শুরুর আগমুহূর্তে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাশিয়ার ১৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রসচিব জেমস ক্লেভারলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেন দখলে ছয়টি প্রতিষ্ঠান রুশ সশস্ত্র বাহিনীকে ড্রোন ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। এছাড়া আট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান ক্রেমলিনের ক্ষমতাধরদের আর্থিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ব্রিটেন সফর শেষে জেলেনস্কি দেশে ফিরবেন নাকি সেখান থেকেই বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যাবেন; সে বিষয়ে ইউক্রেন অথবা ব্রিটেনের সরকারের তরফ থেকে কোনো তথ্য প্রচারমাধ্যমকে জানানো হয়নি। ব্রাসেলসে তার সফরসূচি সম্পর্কেও কিছু বলা হয়নি।

এর আগে গত বছর ২১ ডিসেম্বর ভলোদিমির জেলেনস্কি ১০ ঘণ্টার সফরে যুক্তরাষ্ট্র যান। সেবার তিনি প্রথমে কিয়েভ থেকে পাশের দেশ পোল্যান্ডে যান। সেখান থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমানে চড়ে ওয়াশিংটন পৌঁছেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও কংগ্রেসে ভাষণ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।