সূর্যের বিশাল অংশে ভাঙন, বিজ্ঞানীরা হতবাক

সূর্যের মধ্যে একটি আশ্চর্যজনক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছে বিজ্ঞানীরা। বিশেষ পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে, সূর্যের একটি বড় অংশ তার পৃষ্ঠ থেকে ভেঙে পড়েছে; যেটি উত্তর মেরুর চারপাশে হারিকেনের মতো ঘূর্ণি তৈরি করেছে। গেল সপ্তাহে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার সম্ভাব্য প্রভাব পৃথিবীতে পড়া নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।

সূর্যের ভেঙে পড়া অংশ উত্তর মেরুর চারপাশে হারিকেনের মতো ঘূর্ণি তৈরি করেছে

সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত এই গ্রহটির সাম্প্রতিক এমন বিকাশের ভিডিও বিশ্বজুড়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে। খবর স্পুটনিক তুরস্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) অসাধারণ এ ঘটনাটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধারণ করা হয়েছে। গেল সপ্তাহে মহাকাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাসক ড. তামিথা স্কোভ টুইটারে এ নিয়ে ভিডিও শেয়ার করেছেন।

স্কোভ টুইটারে লিখেছেন, সূর্যের যে অংশটি উত্তর পর্বত থেকে নির্গত হয় তার উপাদানটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন সূর্যের উত্তর মেরুর চারপাশে একটি দুর্দান্ত মেরু ঘুরছে। সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে সরে যাওয়া অংশটি নক্ষত্রের উত্তর মেরুতে বিশাল এক ঝড়ের সৃষ্টি করেছে।

দ্বিতীয় টুইটে স্কোভ লিখেছেন, সৌর মেরু ঘূর্ণি সম্পর্কে আরও পর্যবেক্ষণ দেখায় যে উপাদানটি প্রায় ৬০ অক্ষাংশে মেরুটি প্রদক্ষিণ করতে প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছে। এর অর্থ হল; এই ইভেন্টে পূর্বাভাসিত শিখর থেকে অনুভূমিক বাতাসের গতি, প্রতি সেকেন্ডে ৯৬ কিলোমিটার বা প্রতি সেকেন্ডে ৬০ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।

সূর্যের এ বিকাশ বিজ্ঞানীদের ব্যাপকভাবে চিন্তিত করে তুলেছে। কারণ সৌর শিখা কখনও কখনও পৃথিবীর যোগাযোগকে প্রভাবিত করে।

কয়েক দশক ধরে চলমান সূর্য পর্যবেক্ষণ ইউএস ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক রিসার্চের সৌর পদার্থবিদ স্কট ম্যাকিনটোশ মনে করেন, আমি কখনই এমন ঘূর্ণি দেখিনি; যার একটি টুকরো ভেঙে সূর্যের বায়ুমণ্ডলে আঘাত করে।

এই অস্বাভাবিক বিকাশ নিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই মাসে সূর্য থেকে একাধিক শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। যা পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত করেছে। ঘটনাটি বিশদ ভাবে জানতে এবং একটি পরিষ্কার ধারণা পেতে বিশ্লেষণ করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও।