যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক মহড়া বাড়াবে জাপান

উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মিলিত সামরিক মহড়া জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে জাপান। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বোমারু বিমানগুলোকে একত্রিত করার জন্য একটি নির্দেশনাও জারি করেছে দেশটি। কেবিএস ওয়ার্ল্ডের খবর।

সামরিক মহড়ায় যুদ্ধবিমান

জাপানের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রোববার জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে জাপান সংশোধিত জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলসহ তিনটি নিরাপত্তা সম্পর্কিত কৌশলগত নথি অনুমোদন করে। যাতে দ্রুত সামরিক প্রতিরোধের বিকল্পগুলোকে শক্তিশালী করা যায়।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান দক্ষিণ যৌথ বিমান মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। তাতে দক্ষিণ কোরিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। মহড়ায় ইউএস বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান উড়ানো হয়। এর একদিন পর উত্তর কোরিয়া মহড়ার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে দেখায়, যা জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে আঘাত হানে।

একজন জাপানি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের অনুরোধে গত বছর থেকে উত্তর কোরিয়ার উস্কানির জবাব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

বছরজুড়ে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা চলমান থাকে। উত্তর কোরিয়া মনে করে, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে সামরিক মহড়ার মাধ্যমে হুমকির বার্তা দিতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। এজন্য উত্তর কোরিয়া বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নিজের প্রতিবাদী মনোভাবের প্রকাশ ঘটায়।

এর আগে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এজন্য পিয়ংইয়ং প্রতিরোধ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আহ্বান জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু চীন-রাশিয়া তাতে সায় দেয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধংদেহী মনোভাবে বারবার বিরক্তি প্রকাশ করে আসছে। কিন্তু উত্তর কোরীয় শীর্ষ নেতা কিম জং উন থামার পাত্র নন। তিনি শত্রুদের রাঙাচক্ষুকে ভয় পেতে রাজি নন এমন মনোভাব দেখিয়ে থাকেন।