১৮তম বৈঠকে চীন-ভারত, তবুও অগ্রগতি নেই!

সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আবারও বৈঠকে বসেছে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন। ২০২০ সালে সীমান্ত নিয়ে সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে এটি ১৮তম বৈঠক। এ বৈঠকে বেশকিছু বিষয়ে অগ্রগতির দাবি করা হলেও জানা গেছে, দুই দেশই তাদের আগের অবস্থানে রয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

১৮তম বৈঠকে বসেছে দুই দেশের সেনারা

ভারতের পূর্ব লাদাখ সেক্টরের প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালির নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দল রোববারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। চীনের পক্ষ থেকেও সম পর্যায়ের পদের অফিসাররা বৈঠকে ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর ভারতীয় সেনাবাহিনী ও চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মধ্যকার উত্তেজনা কমাতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে কোর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছিল। আলোচনায় উভয় পক্ষই নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অব্যাহত রাখা এবং সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংলাপ বজায় রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। সেই সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

ভারত-চীনের পতাকা

আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি শাংফুরও অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। এর প্রাক্কালে দুই দেশের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। তবে ভারতের পক্ষ থেকে বৈঠকের ব্যাপারে মন্তব্য করা হয়, চীনা পক্ষ সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত কাজ করতে আগ্রহী নয় এবং কিছু বিষয়ে আলোচনা সামনে এগিয়ে নিতে আগ্রহী নয়।

২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সে সময় ২০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হয়। তবে চীনের পক্ষ থেকে হতাহতের ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো তথ্য জানা যায়নি। পরবর্তীতে আরও কয়েকবার দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

এর সমাধান খুঁজতেই দুই দেশ এ পর্যন্ত ১৮ দফা বৈঠক করে ফেলেছে। যদিও এখন পর্যন্ত সীমান্ত থেকে সেনা সরানো হবে, এমনটি আশা করা যাচ্ছে না। দুই পক্ষই সীমান্তে ভারী অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে। ধীরে ধীরে তা বাড়ানো হচ্ছে।