দুই জেনারেলসহ ইউক্রেনের ৫২ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি রাশিয়ার

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ক্রামতোর্স্কে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই ইউক্রেনীয় জেনারেল এবং ৫০ জন ইউক্রেনীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। খবর আরব নিউজ।

ক্রামতোর্স্কে হামলা

রাশিয়ার এ হামলার ব্যাপারে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের একটি জনাকীর্ণ রেস্তোরাঁয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৬০ জন।

তবে রাশিয়ার তাদের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা কোনো বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে চালায়নি। তারা কেবলই সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে। ক্রামতোর্স্কেও তারা একটি অস্থায়ী ইউক্রেনের সেনা কমান্ড পোস্টে হামলা চালিয়েছে। সেখানে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দুই জেনারেল এবং ৫০ জন অফিসার নিহত হয়েছেন।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ

মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক দাবিতে জানিয়েছে, রুশ বাহিনী একটি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর ৫৬তম পদাতিক ব্রিগেডের অস্থায়ী মোতায়েনের একটি পয়েন্টে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে। এ সময় ২০ জন বিদেশি ভাড়াটে উপদেষ্টা নিহত হয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

ক্রামতোর্স্কে হামলার ব্যাপারে এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া যা করেছে, তাতে তাদের কেবল দুটি জিনিসই প্রাপ্য, তা হলো পরাজয় ও শাস্তি।

উল্লেখ্য, দোনেৎস্কের যুদ্ধক্ষেত্রের পশ্চিমে অবস্থিত ক্রামতোর্স্ক শহর কিয়েভ বাহিনীর রসদ সরবরাহে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মস্কোপন্থী গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, রাশিয়া ক্রামতোর্স্কের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সেনা স্থাপনা এবং সেনা, অস্ত্র ও সরঞ্জাম লুকিয়ে রাখা বেসামরিক স্থাপনায় নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে।

রাশিয়া গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে। কিয়েভ রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই বিশেষ অভিযানে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর অভিযোগ করে আসছে। তবে রাশিয়া শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তারা এই অভিযানে বেসামরিক ব্যক্তি ও লক্ষ্যের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালায়নি।