কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে আফগানিস্তান?

আফগানিস্তানের কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আতাউল্লাহ ওমারি বলেছেন, আফগানিস্তান শীঘ্রই কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে যাচ্ছে। তোলোনিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, খাদ্য তথা কৃষি খাতে আফগানিস্তানকে একটি আমদানিনির্ভর দেশ থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে।

আফগানিস্তানের শস্য খেত

আতাউল্লাহ ওমারি বলেন, গত দেড় বা দুই বছরে আমরা এ খাতে বেশ ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছি। দেশে পানির ঘাটতি মোকাবেলায় ভূগর্ভস্থ পানি ও অন্যান্য পানির উৎস ব্যবস্থাপনার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে সরকারের কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলছেন, আফগানিস্তানের কৃষিতে পঙ্গপালের আক্রমণকে একটি বড় সংকট হিসেবে গণ্য করা হয়। তারা সেই সংকটের অনেকটাই সমাধান করেছেন। যে সব প্রদেশে পঙ্গপালের হানা বেশি দেখা যায়, সে সব জায়গায় পঙ্গপাল প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ফলে এবার আর ফসলের ক্ষতি হবে না বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের একটি জাফরান খেত

মন্ত্রী বলেন, সবমিলিয়ে আমরা কৃষিখাতে বেশ ভালো সক্ষমতা অর্জন করেছি। আমরা আশা করছি আফগানিস্তানের খাদ্যের জন্য এখন আর অন্য দেশের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। অন্য দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হবে না। দেশের চাহিদা আমরা নিজেরাই মেটাতে পারব। বরং আমরা এখন আমদানিকারক দেশ থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

দুই দশক ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার পর ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আবারও আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে।

আন্তর্জাতিক বিশ্ব আফগানিস্তানে প্রবল দারিদ্র্য পরিস্থিতির বিষয়ে বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও দেশটির সরকার বলছে, এটি আন্তর্জাতিক একটি প্রোপাগাণ্ডার অংশ। তাদের দেশ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে।