সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাপান-ইরান বৈঠক

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে বৈঠকে মিলিত হবেন। ২০ আগস্ট, রোববার জাপানি বার্তা সংস্থা কিয়োডো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানি এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

ফুমিও কিশিদা এবং ইব্রাহিম রাইসি

কিয়োডোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যগতভাবে ইরানের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ইরান এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে চায়। এছাড়া পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সঙ্গে ইরানের আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা এড়াতে এই বিষয়ে জাপানের সঙ্গে আলোচনা করবে দেশটি।

এদিকে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কিশিদা এবং রাইসি গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে গিয়ে পরস্পরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

উভয় নেতাই রাশিয়ার কাছে ইরানের সশস্ত্র ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পশ্চিমাদের দাবি, রাশিয়া এই ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনে হামলা করছে।

রাইসি জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে ইরান সফর করতে বলবেন। এছাড়া জাপানে ইরানের জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করার সুযোগ চাইবেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে জাপান ইরানের প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ জব্দ করে রেখেছে।

কিয়োডোর খবরে বলা হয়েছে, জাপান হরমুজ প্রণালীতে নিরাপত্তার ওপর জোর দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পথ দিয়েই বেশিরভাগ অপরিশোধিত তেল জাপানে আসে। জাপান তার অপরিশোধিত তেলের ৯০ শতাংশের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের উপর নির্ভর করে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসও আমদানি করে থাকে দেশটি।