গাজায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছে হামাস

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি কয়েক ডজন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। ১৫ মার্চ, শুক্রবার ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীর একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।

ধ্বংসস্তূপের সামনে একজন ফিলিস্তিনি দাঁড়িয়ে আছেন, দক্ষিণ গাজার রাফাহ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চুক্তিটি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং একটি বন্দী বিনিময়ের জন্য হতে হবে। এই চুক্তির মাধ্যমে এক সময় গাজা উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পথ তৈরি হবে এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আসবে।'     

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফলহীন মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার কয়েক সপ্তাহ পরে নতুন এই প্রস্তাব দিল হামাস। হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ৪২ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। একজন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলি জেলে আটক ২০ থেকে ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে হবে। এর আগে ১ জন জিম্মির বিনিময়ে ১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস। 

হামাসের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন এই প্রস্তাবে নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৬০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এছাড়া ২৫০ ইসরায়েলি এবং বিদেশিকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতির সময় ১০৫ জন জিম্মি মুক্তি পায়। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আরও ২ জন জিম্মিকে উদ্ধার করার দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস এখনও পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ১৩০ জন জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ জন মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামাস বলেছে, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজা উপত্যকার সমস্ত শহর এবং জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীদের কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই নিজেদের এলাকায় ফিরে আসার অনুমতি দিতে হবে।

হামাসের নতুন প্রস্তাবে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মিশর এবং কাতারকে এই চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এএফপি