আকাশপথ খুলে দিয়েছে ইরাক, জর্ডান, লেবানন

ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে বন্ধ করে দেওয়া আকাশপথ আবার খুলে দিয়েছে ইরাক, জর্ডান ও লেবানন। সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ১৪ এপ্রিল, রোববার ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে ইরান। এর ফলে আকাশপথ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল দেশগুলো।

ইরানের হামলার ছবি

রোববার ইরাকের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকায় আকাশসীমা এবং বিমানবন্দরগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

একইদিন জর্ডানের রাষ্ট্রীয় টিভি দেশটির বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন ঘণ্টারও বেশি আগে আকাশসীমা খুলে দিয়েছে জর্ডান।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, শনিবার সারারাত বন্ধ থাকার পর বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। 

এদিকে, ইসরায়েলও রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তার আকাশসীমা পুনরায় খুলে দিয়েছে। তবে তেল আবিব থেকে বিমানের সময়সূচীতে সমস্যা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

শনিবার দিবাগত রাতে ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। দেশটি ইসরায়েলে ৩ শতাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানা গেছে। এটি ছিল ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ।

উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা করে ইসরায়েল। এর ফলে ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) ৭ জন সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমি ছিলেন। এরা আইআরজিসির বিদেশি অপারেশন শাখা আল-কুদস ফোর্সের সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। সে সময় এই হামলার পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।

সূত্র: আল জাজিরা