হামাসের হাতে এখনও ৩০ ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বন্দী!

হামাসের একটি উচ্চপদস্থ সূত্র প্রকাশ করেছে যে ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীর হাতে কমপক্ষে ৩০ জন ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বন্দী আছে। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার কার্যকরভাবে হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি আরবি ভাষার নিউজ ওয়েবসাইট আল আরাবি আল জাদিদকে এই তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনা, ফাইল ছবি

সূত্রটি বলেছে, ‘দখলদার ইসরায়েলি সরকার এই বন্দীদের মুক্তির দায়িত্ব এড়ানোর লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে ইসরায়েলি জনসাধারণ এবং বন্দীদের পরিবারকে লক্ষ্য করে প্রতারণার কাজে লিপ্ত রয়েছে।' 

এদিকে ইসরায়েলি মিডিয়া প্রচার করেছে, হামাসের কাছে বর্তমানে মাত্র ২০ জন ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে, বাকি জিম্মিদের ভাগ্য অজানা। অথচ সূত্রটি এই খবর অস্বীকার করেছে। গাজায় অন্তত ১০০ জন ইসরায়েলি বন্দী এখনও জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যদিও গাজা উপত্যকায় জীবিত বন্দীদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা অসম্ভব, তবে সূত্রটি আল আরাবি আল জাদিদকে নিশ্চিত করেছে যে কেবল হামাসের কাছেই প্রায় ইসরায়েলি সেনা এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের ৩০ জন কর্মকর্তা বন্দী আছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর এদেরকে অত্যন্ত সংবেদনশীল সামরিক ইউনিট থেকে বন্দী করা হয়েছে।

হামাস সূত্রটি বলেছে, বন্দীরা অত্যন্ত নিরাপদ স্থানে এবং ইসরায়েলের নাগালের বাইরে আছে।

সূত্রটি আরও দাবি করেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার কিছু মন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর ক্রোধ রোধ করতে কিছু সামরিক বন্দীর পরিচয় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রেখেছেন।

সূত্রটি যোগ করেছে, এই বন্দীদের মুক্তির একমাত্র পথ যুদ্ধবিরতি এবং গাজার পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে রয়েছে।

গাজার হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার সম্পর্কে সূত্রটি জানিয়েছে, তিনি অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় আছেন এবং কার্যকরভাবে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নেতানিয়াহু দাবি করেছিলেন, সিনওয়ার গাজার টানেল নেটওয়ার্কগুলোতে লুকিয়ে আছেন। তবে সূত্রটি এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী ২ শতাধিকের বেশি ইসরায়েলি এবং বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব