বরযাত্রীই ফাঁস করে দিলো, বর চিকিৎসক নয়, দুধ বেচে!

ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। পাত্র নামকরা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। আর পাত্রী নার্সিং পড়ুয়া। তবে বরযাত্রীদের একজন যখন ফাঁস করে দিলো, পাত্র তো চিকিৎসক নয়, তার পেশা তো দুধ বেচা! তখন প্রতারিত মেয়ের বাবা পাত্রকে তুলে দিলেন পুলিশের হাতে।

ফাইলি ছবি

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া এলাকার জয়পুরে। অভিযুক্ত পাত্রের নাম বাপি চাঁদপাড়ি। মুর্শিদাবাদের জেলার খড়গ্রামে তার বাড়ি। তার সঙ্গে দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় জয়পুরের বাসিন্দা ওই নার্সিং পড়ুয়া পাত্রীর সঙ্গে। এরপর দীর্ঘদিনের প্রেমের পর দুই পরিবারই তাদের সম্পর্কের কথা জানে।

বাপি চাঁদপাড়ি নিজেকে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক বলে দাবি করেছিলেন। এমন ভালো পাত্র হাতছাড়া করতে চাননি নার্সিং পড়ুয়া ছাত্রীর বাবা। তাই ধুমধাম করেই বিয়ের আয়োজন করেছিলেন।

বুধবার (১ মে) রাতে কনের বাড়িতে পৌঁছায় পাত্রপক্ষ। খাওয়া দাওয়ার পর শুরু হয় বিয়ের মূল কার্যক্রম। পাত্র-পাত্রী দুজনেই বিয়ের মণ্ডপে বসে যান। পুরোহিত মন্ত্রপাঠ করেন। মালাবদলও হয়ে যায়। বাকি ছিল শুধু সিঁদুর পরানো।

সেই সময় এক বরযাত্রী ফাঁস করে দেয় পাত্রের আসল পরিচয়। জানায়, বর আসলে কোনও চিকিৎসক নন, তার কাজ হচ্ছে দুধ বেচা। তিনি হলেন দুধ ব্যবসায়ী। আসল পরিচয় পেয়ে পাত্রীর বাবা ছুটে এসে বিয়ে ভেঙে দেন। কনেপক্ষের লোকজন বরকে আটকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। পরে বরপক্ষের লোকজনই বাধ্য হয়ে পুলিশ ডেকে আনে। পুলিশ এসে প্রতারণার অভিযোগে পাত্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

পাত্রী জানান, বাপি নিজেকে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক বলে দাবি করত। আর কথাবার্তার ধরনের কারণে তার কথায় সন্দেহ হয়নি। তবে ভাগ্য ভালো, জীবনটা শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।

অন্যদিকে, পুলিশের সামনে পাত্র প্রতারণার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সে জানায়, ওই মেয়েকে দেখে শুরুতেই তার ভালো লেগে গিয়েছিল। কিন্তু তার ধারণা ছিল, চিকিৎসক ছেলে ছাড়া সে হয়ত তাকে পছন্দ করবে না। সেই কারণেই এই মিথ্যে পরিচয়ে সম্পর্ক চালিয়ে গিয়েছিল সে। পরে পরিস্থিতি অনুকূলে এসে সত্য কথা বলে দিতো। কিন্তু সে সুযোগ আর হলো না।