রোজা রাখলে বাচ্চা কি বুকের দুধ পাবে?

রোজা রাখলে বাচ্চা বুকের দুধ পাবে কিনা -প্রায় সব নতুন মায়েদের একই চিন্তা। রোজার সময় যদি মাকে যথেষ্ট পরিমানে সুষম খাদ্য দেয়া যায় তবে মায়ের সাথে সন্তানও সুস্থ থাকবে। কাজেই নতুন মায়েদের জন্য রোজা রাখায় তেমন কোন সমস্যা নেই, যদি তিনি নিজের যত্ন সঠিকভাবে নেন।

কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে না চললে বাচ্চা বুকের দুধ পাবে না। তাই মাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সুষম খাদ্যসহ সব ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করতে হবে।

স্তন্য দানকারী মাকে অবশ্যই সেহেরি এবং ইফতারে সঠিক পরিমাণে খাবার খেতে হবে। এছাড়া রাতের খাবারও খেতে হবে। সেহরির সময় মাকে আমিষ এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে সাথে বেশি করে শাকসবজি খেতে হবে। খাবার শেষে এক গ্লাস দুধ খাবেন, যারা দুধ খেতে পারেন না অর্থাৎ এসিডিটি বা অন্য কোন সমস্যা হয় তারা দুধ দিয়ে বানানো অন্য কোন খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও একটি ফল খাবেন এবং পরিমিত পানি পান করবেন।

রোজার সময় নতুন মায়েদের অবশ্যই প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। খাবারের তালিকায় আমিষ বা প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন: ডিম, দুধ, মাছ মাংস, ডাল রাখতে হবে। এছাড়াও খেতে হবে সবুজ শাকসবজি, দই, পনির, বাদাম এবং বিভিন্ন মৌসুমি ফল। ইফতারে খেজুর খেয়ে নিবেন, এতে এনার্জি পাবেন। স্তন্যদানকারী মায়েদের বুকের দুধ বাড়াতে সেহেরী ও ইফতারিতে বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। যেমন, স্যুপ, জুস, ডাল, শরবত, সাগু, ফলের রস ইত্যাদি। 

বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন। পালং শাক, পুইশাক, কচু শাক, লালশাক, ডাটাশাক অন্যতম। শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’। ফলিক অ্যাসিড থাকে যা শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরন করে।

ইফতারের পর থেকে সেহেরি পর্যন্ত অল্প অল্প করে পানি পান করতে থাকুন। পানি ভালো না লাগলে ফলের রস/জুস খেতে পারেন অথবা দুধ। একজন নতুন মায়ের রোজার সময়টাতে পানির প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।

নতুন মায়ের রোজার সময়টাতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সাথে সাথে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে এতে করে খাবার হজম সহজ হবে। সাথে দরকার দরকার পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম।

এছাড়াও মায়েদের রোজায় চা বা কফি, ভাজাপোড়া বা মসলা এবং চর্বিযুক্ত খাবার, প্যাকেটজাত এবং বাসি খাবার খাওয়া পরিহার করতে হবে। সচেতন থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।