বেড়াতে যাওয়ার আগে ওষুধের বক্সটি সঙ্গে নিন

বর্ষার শেষ দিকে আমাদের দেশে ভ্রমণের মৌসুম শুরু হয়। অনেকে বেড়াতে যাচ্ছেন? ব্যাগ তো গোছগাছ করেই নিয়েছেন। এবার মনে করে দরকারি ওষুধগুলোও ভরে ফেলুন সাইড পকেটে বা আলাদা বাক্সে ভরে বড় ব্যাগেই ঢুকিয়ে নিন।

বেড়াতে গিয়ে অনেক সময় হুটহাট গ্যাসের সমস্যা, মাথা ব্যাথা, জ্বর কিংবা পেটের সমস্যা হতে পারে। তখন কোথায় কার কাছে গিয়ে খুঁজবেন? আর অনেক জায়গায় তো দোকানই পাওয়া যায় না। তাই হাতের কাছেই রাখুন ছোট অথচ দরকারি ওষুধের বাক্সটি। ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায় বলে এই ওষুধগুলোকে ওভার দ্যা কাউন্টার বা OTC Drag বলা হয়ে থাকে।

মাথা বা অন্যকোন ব্যাথায় খেতে পারেন প্যারাসিটামল, ইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন ও আসিটামিনোফেনের মত স্বল্প মাত্রার পেইন কিলার। তবে জ্বরের জন্য শুধুই প্যারাসিটামল।

আর হ্যাঁ, পেইন কিলার অবশ্যই ভরা পেটে খাবেন। আর  খাওয়ার আগে এসিডিটির একটি ট্যাবলেট যেমন, রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল খেয়ে নিবেন তাতে এসিডিটির সমস্যা থাকবে না। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

মনে রাখবেন, খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বা বেশি মাত্রায় কখনোই প্যারাসিটামল বা পেইনকিলার খাবেন না। এতে লিভার ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

এসিডিটির কারণে পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা, বুকে ব্যাথা হতে পারে। এন্টাসিড বা মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া দুই-তিন চামচ খেতে পারেন। আরো ভাল ফলের জন্য রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল তো আছেই। তবে সেই সাথে অবশ্যই ভাঁজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।

হঠাৎ হাত-পা কেটে গেলে বা ছিলে গেলে নেবানল, নেবাসন, নিওসিন, নিওবি, নেব্রাসিনের মত এন্টিসেপ্টিক ক্রিম ও ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ রাখতে পারেন সাথে। বার্ন ক্রিমও হাতের কাছেই রাখুন। পুড়ে গেলে কাজে লাগবে। কেননা কেটে বা পুড়ে গেলে সাথে সাথে ব্যাবস্থা নিলে সংক্রমণ এড়ানো যায়। তবে ক্ষত গভীর হলে অবশ্যই ডাক্তারের সহায়তা নিন।

হাঁটা চলায় বেখেয়ালিতে হঠাৎ পা মচকে যেতে পারে। এমতাবস্থায় ব্যাথানাশক হিসেবে ক্লোফেনাক, কারিসোপ্রোডল বা ব্যাক্লোফেন জেল দিয়ে আক্রান্ত জায়গায় দিনে দুই/তিন বার মালিশ করলে ব্যাথা দ্রুত কমে যাবে।

অ্যালার্জি একটি সাধারণ সমস্যা। খাবার কিংবা ধুলাবালির কারণেই মুলত এটি দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে চোখে পানি ও চুলকানি দেখা দেয়। সেট্রিজিন, লেভোসেট্রিজ এভিল, হিস্টাসিন বা ফেনারগন জাতীয় ওষুধ এ ধরনের সমস্যায় বেশ কার্যকর।

বেড়াতে যাওয়ার সময় এমন কিছু দরকারি ওষুধপত্র হাতের কাছেই রাখুন। শুধু নিজের জন্যই নয়, কখন কার কাজে লেগে যাবে কে বলতে পারে। আর হ্যাঁ, সমস্যার সমাধানে নিজের মধ্যে দ্বিধা থাকলে বা প্রয়োজন মনে করলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।