সন্তান লালন নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে বিরোধ?

সন্তানকে কীভাবে মানুষ করবেন সেই নিয়ে অহরহ শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ চলে অনেকেরই। আপনি বলেন এক, আর শ্বশুর-শাশুড়ি বলেন আরেক।

কীভাবে সামলাবেন এই পরিস্থিতি, রইল কিছু পরামর্শ।

মায়ের প্রতি

• সন্তানকে নিয়ে ইগোর লড়াইয়ে যাবেন না।
• নিজের মত প্রকাশের সময় কখনও রূঢ় হবেন না। তাহলে শ্বশুর-শাশুড়ি মনে কষ্ট পাবেন।
• সন্তানের জন্য যা ভাল তা নিশ্চয় করবেন। কিন্তু পদ্ধতিটা যেন সঠিক হয়। বেশি বকাঝকা করলে বা জোর করলে সন্তানেরও জেদ চেপে যাবে।
• আপনাদের লালন-পালনের ধরন হয়ত আলাদা কিন্তু সন্তানকে মানুষ করে তোলার দায়িত্বের একটা নির্দিষ্ট সীমানা ঠিক করে নিতে পারেন। হয়ত আপনি পড়াশোনা, স্কুল ইত্যাদির ভার নিলেন। আর নাতিকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, হবি ক্লাসের খুঁটিনাটি, খাওয়ানোর দায়িত্ব নিলেন আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি। একে অপরকে খুঁটিনাটি তথ্য সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল অবশ্যই রাখবেন। কিন্তু একে অন্যের কাজে মাথা না গলানোই ভাল।
• শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে এমন কোনও খারাপ ব্যবহার করবেন না যা আপনার সন্তানের উপর প্রভাব ফেলে। বাচ্চাকে যা বোঝানোর সহজ ভাষায় যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিন।
• সন্তানের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান। তাহলে আপনার সন্তান আপনাকে বুঝতে পারবে। 
• দাদু- দাদা সম্বদ্ধে কোনও নেগেটিভ ধারণা বাচ্চার মধ্যে ঢুকিয়ে দেবেন না। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত আদরটাও ওঁদের ভালবাসারই প্রকাশ।
• শ্বশুর-শাশুড়ি বাচ্চাকে অতিরিক্ত আদর দিলেও আপনি ব্যালেন্সড থাকুন। ওর ভাগের স্নেহ থেকে ওকে বঞ্চিত করবেন না, আবার সব আবদারও মেনে নেবেন না।
• পেরেন্টিং নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও, সেই অশান্তির প্রভাব সন্তানের উপর পড়তে দেবেন না। সন্তানকে নিজের দলে টানার চেষ্টা করবেন না।
• নিজের মতামত বাচ্চার উপর চাপিয়ে না দিয়ে আপনার এবং ওর দাদু- দাদার প্রভাব যেন ওর উপর সমানভাবে পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

দাদু-দাদার প্রতি

• নাতি-নাতনি সত্যিই আদরের হয়। কিন্তু খেয়াল রাখবেন আপনাদের অতিরিক্ত আদর যেন ভবিষ্যৎ জীবনে ওদের কোনও ক্ষতি না করে।
• ওদের সামনে বউমাকে ছোট করবেন না। যদি মনে হয় বউমা অতিরিক্ত শাসন করছেন তাহলে পরে আলাদা করে ডেকে বলবেন। না হয় আপনার নাতি-নাতনি কিন্তু মাকে অবজ্ঞা করতে শিখবে।
• নাতি-নাতনি বায়না করলে একটু বুদ্ধি দিয়ে পরিস্থিতি সামলান। সবকিছু সহজে পেয়ে গেলে ওদের পরিশ্রম করার মানসিকতা চলে যাবে।
• বাচ্চাকে নিয়ে বউমার সঙ্গে কোনও সমস্যা হলে সব সময় ওর দোষ দেখবেন না। নিজেদের দিক থেকে কোনও ভুল হচ্ছে কি না সেটাও ভেবে দেখুন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন

সুখী দম্পতি হতে চাইলে

কাটিয়ে উঠুন ‘মানি ক্রাইসিস’

দিনের শুরুটা যেনো সুন্দর হয়