টুইটারের বিরুদ্ধে 'জঙ্গি সহায়তার' অভিযোগ

জঙ্গি সংগঠন আইএসের কাজে সমর্থন দেয়ার অভিযোগে জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্ম আইএসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ভিত্তিক তামারা ফিল্ডস নামক প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মী। পাশাপাশি গত বছর জর্ডানের আম্মামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের ঘটনায় টুইটারের কাছে ক্ষতি পূরণও চেয়েছেন তিনি।

ওই নারী কর্মী আদালতে তার অভিযোগপত্রে লিখেছেন, ‘আইএসের কর্মী যোগাতে টুইটারই প্রধান সাহায্যকারী হিসেবে ভূমিকা রাখছে। এ প্লাটফর্মটি ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্রুপটি মাত্র অল্প কয়েক বছরে এভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না।' টুইটার জেনেশুনেই আইএস ও এর অপপ্রচারগুলো প্রকাশ করেছে লিখিত বক্তব্য দাবী করেছেন তিনি।

তবে টুইটার ওই ব্যক্তির দাবী অস্বীকার করে ইতোমধ্যেই বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে টুইটারের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা মনে করি আমাদের সম্পর্কে এটি একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ। তবে ওই পরিবারের মারাত্মক ক্ষতির কথা শুনে আমরা ব্যথিত হয়েছি এবং নিন্দা জানাচ্ছি। শুধু ওই নারীর পরিবারই নয়, পৃথিবীর সব মানুষের মতোই জঙ্গিগোষ্ঠীর নৃশংসতার ও ইন্টারনেটে তাদের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে আমরা ভীত। অন্য সামাজিক যোগাযোগের সাইটের মতো সহিংস হুমকি ও সন্ত্রাসবাদের প্রচারের কোনো স্থান টুইটারে নেই।'

এ ধরনের কর্মকাণ্ড টুইটারের নীতিমালার বাইরে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ফিল্ডস আদালতে টুইটারের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে যদি তিনি মামলায় জিতে যান তাহলে সরকারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দায়িত্বও টুইটারকে নিতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকগণ।

উল্লেখ্য, গত মাসে তুরস্কের সরকার সন্ত্রাসী অপপ্রচারের অভিযোগে টুইটারকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছিল। এবার মামলায় টুইটার হেরে গেলে আরো বহুগুণ বেশি জরিমানার কবলে পড়তে পারে প্রতিষ্ঠানটি।

আপনি আরো পড়তে পারেন 

উইন্ডোজ এইট থেকেও সমর্থন সরিয়ে নিল মাইক্রোসফট

এবার প্রাইভেট বাসেও যুক্ত হলো ওয়াইফাই সুবিধা

কাগজের মত ভাঁজ করা যাবে এলজির মনিটর