হঠাৎ পা ফুলে 'কলাগাছ'?

সকালে উঠে বা রাতে শোবার আগে হঠাৎ খেয়াল করলেন হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে অস্বস্তি লাগছে। পা ফুলে গিয়ে ব্যথা ও জ্বালাপোড়াও হচ্ছে। ‘পায়ের পাতা’ লালচে হয়ে অসম্ভবভাবে ফুলে আছে। আপনি জানেন কি, এই সমস্যাটি যে কারোরই হতে পারে। হঠাৎ পা ফোলা কোন রোগ নয় বরং আপনার অসচেতনতার ফলস্বরূপ এই ‘পা ফোলা’।

সাধারণত শরীরের টিস্যুর মধ্যে যখন তরল জমা হয়ে থাকে তখনই ইডিমা বা পা ফোলার সমস্যাটি হয়ে থাকে। নানান কারণে আপনার পা ফুলে যেতে পারে যেমন, আপনার অতিরিক্ত ওজন, একটানা দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে, নিয়মিত ব্যয়াম বা প্রয়োজন মতো হাঁটাচলা না করলে, আপনার রক্ত সঞ্চালন কম হলে, আবার পুষ্টির অভাবেও আপনার পা ফুলে যেতে পারে। আর সাধারণত ডায়াবেটিস, কিডনী ও হার্টের সমস্যাজনিত রোগীদের পা ফুলে থাকে মাঝে মাঝেই। আবার গর্ভবতী মহিলাদেরও এই সমস্যা হয়ে থাকে।

কী করবেন চলুন জেনে নেই-

আপনার পা উঁচুতে রেখে শুয়ে থাকুন মিনিট দশেক। এভাবে কয়েক ঘণ্টা পর পর করুন এতে পা ফোলা কমে যাবে। রাতে ঘুমানোর আগেও কিছুক্ষণ উঁচু বালিশে পা রেখে শুয়ে থাকুন।

অতিরিক্ত লবণ, ক্যাফেইন গ্রহণ আপনার শরীরে পানি জমতে সাহায্য করে। যার ফলে পা ফুলে যায়, তাই অতিরিক্ত লবণ ও কফি পান বর্জন করুন।

পায়ের পাতার ফোলা কমাতে পানির থ্যারাপি নিতে পারেন। এর জন্য দুইটা আলাদা বালতিতে গরম ও ঠাণ্ডা পানি নিন। এবার গরম পানিতে মিনিট পাঁচেক পা ডুবিয়ে রাখুন এতে আপনার পায়ের রক্তের সঞ্চালন বাড়বে। এরপর ঠাণ্ডা পানির বালতিতেও পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক এতে আপনার পায়ের ফোলা ভাব কমবে ও পায়ের জ্বালাপোড়া কমবে। প্রায় আধাঘণ্টা এই প্রক্রিয়াটি পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করুন। এতে বেশ আরাম ও উপকৃত হবেন।

‘পা ফোলা’ কমাতে মালিশ বেশ কাজ করে থাকে। দিনে কয়েক বার পায়ে তেল মালিশ করুন।
অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল একটু গরম করে নিয়ে ফোলা স্থানে আলতো হাতে মালিশ করুন, জোরে জোরে চাপ দিবেন না। হালকা মালিশে মাংসপেশি শিথিল হয়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আবার টি ট্রি অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন পা ফোলা কমাতে, গরম না করে নর্মালি মালিশ করুন।

‘লেবু পানি’ পান আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে ও আপনার শরীরের অতিরিক্ত তরল বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে কাজ করবে। তাই নিয়মিত লেবু পানি পান করুন। এক কাপ গরম পানিতে পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। টকপ্রিয় না হলে লেবু পানিতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।

আপনার এই সমস্যা যদি অতিমাত্রা ধারণ করে এবং কোন কিছুতেই না কমে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখুন

ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের যত্ন

পায়ের রগে বা পেশীতে হঠাৎ টান?