ভেন্টিলেটর তৈরিতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীর চমক!

অন্য সময় তো বটেই, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে ভেন্টিলেটর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র। রোগীর ফুসফুস যদি সচল না থাকে তবে শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটা করে দেয় ভেন্টিলেটর। দেশে যখন এই যন্ত্রের অভাবের কথা জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছে তখন চমক নিয়ে হাজির হলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সানি জুবায়ের। তৈরি করলেন অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী মূলের ভেন্টিলেটর।

সানি জুবায়ের ঢাকা কলেজের বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্য। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানবিষয়ক বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে এনেছেন। এবার দেশের ক্রান্তিকালে বানালেন ভেন্টিলেটর। সানির ভাষ্য, অন্যান্য দেশ থেকে আমরা যে দামে ভেন্টিলেটর কিনে আনি এটা বানাতে খরচ পড়বে তারচেয়ে অনেক কম, মাত্র ৭ হাজার টাকা। আর সরকার যদি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে তাহলে তো খরচ আরো নেমে আসবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ভেন্টিলেটর রয়েছে ১ হাজার ২৫০টি। সরকারি হাসপাতালে ৫০০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আছে ৭৫০টি। করোনায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য এই মুহূর্তে আরো বেশি ভেন্টিলেটরের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। অবশ্য কিছুদিন আগে এই যন্ত্র তৈরিতে হাত দিয়েছে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার হাইটেক পার্ক লিমিটেড। ইতোমধ্যে তারা বেশ কয়েকটি তৈরি করে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর কথাও জানিয়েছে।

নিজের তৈরি ভেন্টিলেটর সম্পর্কে সানি জুবায়ের বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত রোগীদের খুব শ্বাসকষ্ট হয়। আর তাই ফুসফুসে অক্সিজেন সাপ্লাই এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে আনার জন্য প্রয়োজন হয় ভেন্টিলেটর। আমার তৈরি যন্ত্র এই কাজটি করতে পুরোপুরি সক্ষম। শুধু তাই নয়, যন্ত্রটিতে শ্বাস-প্রশ্বাসের রেটও সংযুক্ত করেছি। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী তা সিলেক্ট করে দেওয়া যাবে। ধরা যাক, রেস্পিরেটরি রেট ২৪-এ সিলেক্ট করে দেওয়া হল, তাহলে প্রতি মিনিটে ওই রোগীর ফুসফুস ২৪ বার অক্সিজেন গ্রহণ করবে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করবে।

বিদ্যুত চলে গেলে ভেন্টিলেটরের কাজ যেন বন্ধ না হয়ে যায় সেজন্য এটিতে আইপিএস সুবিধাও যুক্ত করা হয়েছে, জানান সানি জুবায়ের।