লম্বা হতে চাইলে

নিজের উচ্চতা নিয়ে আফসোস করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কখনও কখনও যদি ভালো উচ্চতার কেউ পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে তো আর কথাই নেই। আপনমনেই বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।

শরীরের উচ্চতার উপর প্রায় ২০ ভাগ প্রভাব থাকে আমাদের পরিবেশ ও দৈনন্দিন খাবারের। তাই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আমরা নিজেরাই আমাদের উচ্চতা বাড়াতে পারি।

নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ঘুম ও বিশ্রামে আমাদের দেহ গঠনের টিস্যুগুলো কাজ করে। ফলে শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন বয়সভেদে অন্তত ৮ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া উচ্চতা বৃদ্ধির এটাই একমাত্র প্রাকৃতিক উপায়।

নিয়মিত ব্যায়ামে শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য যাদের ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা করার অভ্যাস থাকে তাদের শারীরিক গঠন অন্যদের ভালো ও দ্রুত হয়। খেলাধুলার মধ্যে সাঁতার, ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, স্ট্রেচিং ইত্যাদি বেশ সহায়ক।

ব্যায়াম ও খেলাধুলার পাশাপাশি ভালো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত খাবার না পেলে উচ্চতা কখনোই বৃদ্ধি পাবে না। পুষ্টিকর খাবার দেহের হাড় ও কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া ভিটামিন ‘ডি’ দেহের গ্রোথ হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। 

যোগব্যায়াম উচ্চতা বৃদ্ধির কাজে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। মাউন্টেইন পোজ, ট্রাইঅ্যাঙ্গেল পোজ, ট্রি পোজ, কোবরা পোজ, প্লিজেন্ট পোজ ইত্যাদি উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়ক।

উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এমন খাবার পরিহার করতে হবে। অতিরিক্ত কোমল পানীয় খাওয়া পরিহার করতে হবে। এছাড়া ধূমপান, মদ্যপান শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। রাতে না ঘুমানোও উচ্চতা বৃদ্ধি না হওয়ার একটি কারণ।