বড় হওয়ার মুহূর্তে প্রত্যেক শিশুই বাবা-মার সমর্থন চায়। মানুষের বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস খুব প্রয়োজনীয় একটি বিষয় যার ভিত্তি হয় ছোটবেলা থেকেই। কোনো কারণে ছোটবেলায় যদি আত্মবিশ্বাসের জায়গাটি নষ্ট হয়ে যায়, এর প্রভাব সারা জীবনই পড়ে।

confident child

মনোবিজ্ঞানীরা শিশুর আত্মবিশ্বাস-মর্যাদাকে সারা জীবনের মানসিক স্বাস্থ্য বা সুখী থাকার পাসপোর্ট হিসেবে গণ্য করেন। আত্মবিশ্বাসের অভাব শিশুদের আচরণে মারাত্মক প্রভাব ফেলে যা শিশুর আচরণগত জটিলতা তৈরী করে। শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে অভিভাবকের চেয়ে বড় কোন প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয়টি নেই। সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে কিছু টিপস দেয়া হল-

  • যেকোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই বড় কথা এটি শিশুকে বোঝাতে হবে। জয়-পরাজয়, হারজিত সাদরে গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে তুলুন। বিজয়ী হতে শিশুকে চাপপ্রয়োগ করবেন না।
  • কোনো বিষয়ে শিশুকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে অনুশীলনে মনযোগী হোন। অনুশীলন ছাড়া সাফল্যলাভ সম্ভব নয় বিষয়টি তাকে বোঝান। শিশুকে অনুশীলনে উৎসাহ দিন।
  • শিশুকে স্বাবলম্বী কিংবা আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে যে কোনো বিষয়ে সমস্যা তাকে নির্ণয় করতে দিন। শিশু নিজের মত করে করার পর তাকে সাহায্য করতে পারেন। আগে থেকে করে দিলে শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে না।
  • শিশুর বয়সের জন্য উপযুক্ত কাজ তাকে করতে দিন এবং তার কাছ থেকে বড়দের ব্যবহার আশা করবেন না। নতুন বিষয়ে সর্বদা নতুন চ্যালেঞ্জ দিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণে উৎসাহী করে তুলুন। এটি আত্মবিশ্বাসী হতে দারুণ সহায়তা করবে।
  • নানা বিষয়ে শিশুর কৌতুহল থাকেই। আর এই কৌতুহলকে আরও বাড়িয়ে জ্ঞান আহরণে তাকে নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে। নানা বিষয়ে শর্টকাট পদ্ধতি শিশুর জন্য ক্ষতিকর। এসব পদ্ধতি শিশুকে এগিয়েতো নেয়ই না বরং পিছিয়ে দেয়। তাই শিশুর বেলায় এসব পদ্ধতি বাদ দিতে হবে।
  • শিশুর কোনো বিষয়েই সমালোচনা করা যাবে না। সমালোচনা তাকে নিরুৎসাহিত করে এবং আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেয়। শিশুদের ভুল করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাকে ভুলের জন্য দোষারোপ না করে ভুলগুলো থেকে সে যেন শিক্ষা নেয় ও পরবর্তীতে সাফল্যের জন্য অনুপ্রেরণা পায়, সেদিকে মনোযোগী হোন।
  • অভিজ্ঞতা অর্জনে তাকে সুযোগ দিন এবং সাহায্য করুন। শিশুরা নানা ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে। শিশুর সামনে নিজেকে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হিসেবেই উপস্থাপন করুন। নিজের জ্ঞানের ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দিন তার কাছে।
  • শিশুকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় করছেন এটি কোনমতেই শিশুর সামনে প্রকাশ করা যাবে না। কারণ আপনাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দেখে শিশুও নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তায় পড়বে।
  • প্রশংসা শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। যে কোনো সাফল্যের জন্য তাকে বাহবা দিন। অতিরিক্ত নয় বরং প্রয়োজন হলেই সহায়তা দিন শিশুকে। যাতে পরবর্তীতে সে নিজেই কাজটি করতে পারে।
  • সৃজনশীলতা বাড়াতে শিশুকে নতুন নতুন কিছু করতে উৎসাহ দিন সব সময়। নতুন কোনো বিষয়ে শিশু আগ্রহী হয়ে উঠলে তাকে উৎসাহ দিতে হবে। এতে সে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে উঠবে।

সবশেষে, খেয়াল রাখুন আপনি যেন আপনার শিশুর নিয়ন্ত্রণকারী না হয়ে উঠেন বরং শিশুর নানা কাজে ও বিষয়ে সহায়তা করে দিকদর্শনকারী হয়ে উঠুন। তাকে কখনোই জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা যাবে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন

বাচ্চাদের জন্য এলো ‘ইউটিউব কিডজ’

ফেসবুকে কী তথ্য শেয়ার করবেন, কী করবেন না

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

অনলাইনে নিরাপদে থাকবেন যেভাবে

যেভাবে নাম্বার গোপন রেখে কল করবেন

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.