অডিও ফাঁসে বেরিয়ে এলো মুম্বাই হামলার নতুন তথ্য!

২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক ইহুদি সাপ্তাহিক পত্রিকা জিউস ক্রনিক্যাল। প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কীভাবে চাবাদ হাউসকে ইহুদি লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। এএনআই।

চাবাদ হাউস

অভিযোগ রয়েছে, পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার ১০ জন সন্ত্রাসী ১২টি সমন্বিত গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছিল মুম্বাইয়ে। ওই ঘটনায় ১৭৪ জন নিহত হয়। আহত হয় ৩০০ জন। হামলায় ছয়জন ইহুদিও নিহত হয়েছেন।

চাবাদ হাউসটিকে ইহুদিদের অবস্থান হিসেবে খুঁজে বের করে সন্ত্রাসীরা। ভারতের সরকারি সূত্রের বরাতে জিউস ক্রনিক্যাল এই তথ্য জানিয়েছে। মুম্বাইয়ে হামলাকারীদের ওয়্যারটেপ রেকর্ডিংগুলোতে শোনা গেছে, কীভাবে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অংশ হিসেবে ইহুদিদের লক্ষ্য বানিয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসারও পরিকল্পনা ছিল তাদের।

ইহুদি সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, রেকর্ডিংগুলোতে শোনা যায়, কীভাবে সন্ত্রাসীরা হামলার পরিকল্পনা করেছে এবং ১০ জন ভারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মোতায়েন করেছে। সন্ত্রাসীদের সবাই পাকিস্তানের নাগরিক। রেকর্ডিংয়ে মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জাকিউর রহমান লাখভির কণ্ঠ শোনা যায়।

জিউস ক্রনিক্যালের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাইয়ের ইহুদি সম্প্রদায় সম্পর্কে একটি তথ্যচিত্রে কাজ করার সময় ভারত সরকারের একটি সূত্র ইসরায়েলি চলচ্চিত্র নির্মাতা ওরেন রোজেনফেল্ডকে ওয়্যারটেপের বিষয়ে জানায়। সূত্রটি জানিয়েছে, তারা সন্ত্রাসীদের রেকর্ডিং পেয়েছে, যেখানে চাবাদ হাউসকে বিশেষ লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা নৌকা নিয়ে যখন মুম্বাই যাত্রা করে তখন তাদের অবস্থান জানা গিয়েছিল।

ইহুদি ওই পরিচালক বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা জানত ইহুদিদের টার্গেট করলে তারা সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হবে। ভারতে ও মুম্বাইয়ে ইহুদি সম্প্রদায় কখনও নির্যাতিত হয়নি। একটি সমৃদ্ধ সম্প্রদায় আছে। বিশ্বে এটি সত্যিই বিরল। এখানে ২৩ মিলিয়ন মানুষের বাস। বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষের বসবাস এই শহরে। ওই হামলার উদ্দেশ্য ছিল এই সম্প্রীতিকে ভেঙে ফেলা।’

ইসরায়েলি চলচ্চিত্র নির্মাতা ওরেন রোজেনফেল্ডের চলচ্চিত্রটি মুম্বাইয়ের ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রথম মন্দির ধ্বংস থেকে আজ পর্যন্ত ইতিহাসের সন্ধান করে। ২০২২ সালে এটি মুক্তি পাবে।