১৩ বারেও ফল মেলেনি, ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চীন

এর আগে ১৩ বার একই ধরনের আলোচনায় বসেছে দেশ দুটি। কিন্তু ঐকমত্যের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১২ জানুয়ারি আবারো আলোচনার টেবিলে বসতে যাচ্ছেন ভারত ও চীনের সেনা কর্মকর্তারা।

ভারত-চীনের সেনা কর্মকর্তারা

জানা গেছে, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের লাদাখ সেক্টরের মূল সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনাই এই বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু। উভয়পক্ষ আশা করছে, হটস্প্রিং এলাকায় চলমান অস্থিরতা কমানোর উপায় বেরিয়ে আসবে বৈঠকটি থেকে।

সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনারা। ভারতের ২০ জন সেনা সদস্য নিহত হন। হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান না দিলেও ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, চীনেরও প্রায় ৪০ সেনাসদস্য হতাহত হয়েছেন ওই ঘটনায়। এরপরও সীমান্তে শান্তি ফেরাতে দফায় দফায় বৈঠক চালিয়ে গেছে দুই দেশ। তবে শান্তির কোনো সমাধান সূত্র বের হয়নি।

গালওয়ান উপত্যকা

এই ব্যর্থতার জন্য উভয় দেশ পরস্পকে দায়ী করতে থাকে। ভারতীয় পক্ষ দাবি করছে, তারা সমস্যা সমাধানে একাদিক প্রস্তাব দিয়েছিল চীনকে। কিন্তু সেসব প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সাড়া দেয়নি চীন বরং সবশেষ বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে কোনো কোর কমান্ডার যোগ দেননি। একই ইস্যুতে ১৩ বার আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও কোনো ফল না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টরা। তাই অহেতুক এ বৈঠকের জন্য তারিখও ঠিক করা যাচ্ছিল না। তবে শেষমেষ আলোচনায় বসার দিন স্থির করতে সক্ষম হয় দুই দেশ।

জানা গেছে, চুশুলে দুই দেশের সেনারা বৈঠকে বসবে আগামী ১২ জানুয়ারি। নয়াদিল্লি দাবি করছে, ডেপসাং থেকে চুমারের মধ্যকার সমস্ত বিতর্কিত জায়গা নিয়েই আলোচনা করতে হবে বৈঠকে। সীমান্তে পুরোপুরি শান্তি ফেরাতে সব সংঘাতের স্থান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।

চীন ভারতীয় এসব দাবির প্রতি ভ্রুক্ষেপই করেনি বরং এই কয়মাসে অরুণাচলে এসে গ্রাম নির্মাণ, প্রদেশের বিভিন্ন জায়গার নতুন নামকরণ, প্যাংগং লেকে সেতু নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। ভারতের কোনো নিষেধই তারা মাথায় নেয়নি। এমতাবস্থায় নতুন করে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার।