দুধে কি চর্বি বাড়বে?

অনেকের ধারণা দুধে ওজন বাড়ে। এই ভয়ে খাবারের তালিকায় দুধ ও দুগ্ধজাত সব রকম খাবারই দূরে রাখেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনা বৈ অন্য কিছু নয়। দুধ কি তবে কেবল ছোটদের জন্যে? মোটেও তা নয়। দুধ যেমন ছোটদের হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে, ঠিক তেমনই হাড় মজবুত রাখতে বড়দের দুদ্ধজাত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

ক্যালসিয়ামের বড় এক উৎস হল দুধ। আমাদের শরীরের জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন তাই দুধ খাওয়া বাদ দিলে শরীর প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পায় না। এর ফলাফল ডায়েট হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ব্যালেন্সড ডায়েট হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, তরুণ বয়সে হয়ত এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সমস্যা করবে না কিন্তু বয়স চল্লিশ পার হলেই দেখা দেয় সমস্যাগুলো। মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মেনোপজের পর ক্যালসিয়ামের অভাবে ভোগান্তি হয়। অস্টিওপোরোসিস নামক রোগ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির অভাবে হয়। এই রোগে হাড়গুলো দিন দিন দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে।

দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার দীর্ঘদিন না খেলে পরে তা হজমে সমস্যা হতে পারে। ল্যাকটোজ নামের উপাদানটি দুধজাতীয় খাবারে পাওয়া যায়, যা হজমের জন্য আমাদের শরীরে ল্যাকটেজ নামক এনজাইম থাকে। দীর্ঘদিন দুধজাতীয় খাবার না খাওয়ার ফলে এই এনজাইম কার্যক্ষমতা হারায়। অনেকের শরীরে ল্যাকটোজ সহ্য হয় না তারা সয় মিল্ক বা অ্যালমোন্ড মিল্ক খেতে পারেন।

কী ধরনের দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া হচ্ছে তার উপর মোটা হওয়া নির্ভর করে। বাড়তি চিনিযুক্ত দই, চকলেট মিল্ক বা চিজ প্রতিদিন খেলে মোটা হওয়া স্বাভাবিক। বাড়তি ফ্যাট খেতে না চাইলে খাঁটি দুধ জ্বাল দেয়ার পর সরটুকু ফেলে দিন। ফ্লেভার্ড দই নয় সাধারণ দই বেছে নিন। পিৎজা কিংবা পাস্তায় চিজ দেয়া হলে থাকলে তা মাঝে মধ্যে খান। দুধ জাতীয় খাবার প্রোটিনে ভরপুর তাই খেলেই পেট ভরা লাগে।

সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, ওজন বাড়াতে নয়, কমাতে বরং দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোন খাবার বাদ দেয়া ঠিক নয়। এতে শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বাদ যদি দিতেই হয় তবে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, আইসক্রিম, কোমল পানীয় বাদ দিন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় নতুন ড্রাগ আবিষ্কার

গ্রিন টি খাবেন, কিন্তু দিনে কয়বার?

দাঁত পরীক্ষা করাতে হবে নিয়মিত

মাংস খেলে কি মানুষ বুড়িয়ে যায়?

নারকেল তেল খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর