ঢাকা ছাড়লেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং

দুই দিনের ঐতিহাসিক সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে পর ভারতের গোয়ার উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

১৫ অক্টোবর শনিবার বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে চীনা প্রেসিডেন্টকে ফুলের তোড়া দিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল অতিথি এই প্রেসিডেন্টকে বিদায়ী অভিবাদন জানায়। লাল লালিচায় হেঁটে হেঁটে চীনা প্রেসিডেন্টকে নির্দিষ্ট প্লেন পর্যন্ত এগিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চীনা প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ছেড়ে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর চারটি বিমান বাংলাদেশের আকাশসীমা পর্যন্ত শি জিনপিংকে পাহারা দেয়। বিমানবন্দরে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ‌্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ আরো অনেকে।

ঢাকা ত্যাগ করার আগে শি জিনপিং সাভারস্থ জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি শহীদ বেদীতে ফুল দেয়ার পর স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপন করেন। স্বাক্ষর করেন সেখানকার পরিদর্শক বইয়ে।

১৯৮৬ সালের পর দীর্ঘ ৩০ বছর পর বাংলাদেশ সফরে এলেন কোন চীনা প্রেসিডেন্ট। ৮৬ সালে মার্চ মাসে সেবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট লি জিয়াননিয়ান। শি জিনপিংয়ের এই ঐতিহাসিক সফরে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, যার আওতায় বাংলাদেশ চীন থেকে ২১.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ-সহায়তা পেতে যাচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

যেসব চুক্তি ও সমঝোতা করলো চীন-বাংলাদেশ

শাহরিয়ার কবির: ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক, চীনের সাথে কৌশলের

চীনের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ চায় বাংলাদেশ

আব্দুর রাজ্জাক: যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কারও আ.লীগে স্থান নেই

চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে খালেদা জিয়ার বৈঠক