পুতিন: আমেরিকার সঙ্গে কোন আলোচনা নয়

বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন-মস্কোর কোন ধরনের আলোচনা হবার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন বলেন, 'আমেরিকার কাছে আলোচনা মানেই হলো নিজেদের চাহিদা শতভাগ পূরণের জন্য প্রতিপক্ষকে জোরাজুরি করা।'

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, 'রাশিয়া গঠনমূলক আলোচনায় সবসময় আগ্রহী। উভয় দেশের মধ্যকার বিভিন্ন বিরোধ নিয়ে সেগুলোর সমঝোতায় পৌঁছার উপায় বের করার জন্য আলোচনা হলে মস্কো অবশ্যই আলোচনায় বসতে চায়। কিন্তু আমেরিকার পদ্ধতি আলোচনা নয় বরং প্রতিপক্ষের কাছে থেকে শুধুমাত্র নিজেদের চাওয়া-পাওয়াগুলো বুঝিয়ে নেয়।'

তিনি বলেন, 'রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা আলোচনা করতে গেলে একরোখা আচরণ বাদ দিতে হবে। সমঝোতা এবং উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সমান-সমান বণ্টনে বিশ্বাসী হতে হবে।' আমেরিকা-রাশিয়ার সম্পর্কের টানাপড়েন যখন চরম আকার ধারণ করেছে ঠিক তখনি তিনি এই ধরনের বক্তব্য দিলেন পুতিন। ইউক্রেন সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিগত তিন বছর ধরে দেশ দুটির মধ্যে ব্যপক উত্তেজনা চলছে।

আমেরিকা স্বীকার করেছে, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল তাতে ওয়াশিংটনের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। এছাড়াও বর্তমানের সাইবার যুদ্ধ এবং সিরিয়া সংকট দুই দেশের সম্পর্ককে দা-কুমড়ায় পরিণত করেছে। সাইবার আক্রমণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে আমেরিকা।

আমেরিকার বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর গোপন তথ্য বা নথি ফাঁস হওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করে বলা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নগ্ন হস্তক্ষেপ করতেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংগঠন ও ব্যক্তিত্বের ওপর সাইবার আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া। সিরিয়া ইস্যুতেও মুখোমুখি অবস্থানে মস্কো-ওয়াশিংটন।

কূটনৈতিকরা মনে করছেন, দুই দেশের বিরোধীতা শীতল যুদ্ধের সময়ে ফিরে গেছে। আমেরিকা ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে ন্যাটো বাহিনীকে নামানো, ইউরোপের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলায় উত্তেজনা বাড়ছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনও দুই দেশের দ্বন্দ্বকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

তথ্য পাচারের অভিযোগে কাশ্মিরে পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

তেলের বিকল্প উৎস পেয়েছে মিশর

মিশরে তেল সরবরাহ বন্ধ করলো সৌদি

আল আকসা নিয়ে ইউনেস্কোর সঙ্গে বিরোধে ইসরাইল

'রুশ বিমান ভূপাতিত মানেই আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ'