শরীরের দুর্গন্ধ হচ্ছে? তবে এড়িয়ে চলুন কিছু খাবার...

আমাদের শরীরের দুর্গন্ধের জন্য শুধুমাত্র জীবাণু কিংবা সস্তা পারফিউম দায়ী নয়, ডায়েট চার্টেও অনেক সময় এর কারণ লুকিয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এমন বেশ কিছু খাবার আছে যার উপাদানগুলো ভেঙে গ্যাস সৃষ্টিকারী যৌগ তৈরি হয়ে কখনও ঘাম বা নিঃশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে এসে দুর্গন্ধ তৈরি করে।

যদিও এই খাবারগুলোর প্রতিটিই শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু শরীরের বিরক্তিকর দুর্গন্ধ এড়াতে চাইলে খাবারগুলো বাদ দেয়াই ভালো। জেনে নিন কোন কোন খাবার শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকে:

• মসলাদার খাবার যেমন জিরে এবং সালফারজাতীয় মসলা গ্যাসের সৃষ্টির করে তা নিঃশ্বাস এবং লোমকূপের মাধ্যমে নির্গত হয়। তাই মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
• পেঁয়াজে সালফারজাতীয় উপাদান রয়েছে। রসুনেও তাই। পেঁয়াজ এবং রসুন দেহের জন্য উপকারী হলেও যদি কোন পার্টিতে যাওয়ার প্ল্যান থাকে তাহলে এগুলো এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
• ক্যান্ডি, চকোলেট, মিষ্টি বেশি খেলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাটি আসিড জমে যায় এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ইস্টের পরিমাণ বাড়ে। এর ফলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
• অ্যাসপারাগাসে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ আছে এমন খাবার বেশি খেলে শরীরে এবং মূত্র ত্যাগের সময় দুর্গন্ধ নির্গত হয়। অনেক সময় ব্রকোলি, বাধাকপির মত সবজিগুলো খেলেও দেহে দুর্গন্ধ হয়।
• দুগ্ধজাত উপাদান ভেঙে গিয়ে হাইড্রোজেন সালফাইড ও মিথাইল মারক্যাপশন তৈরি করে যা দুর্গন্ধের কারণ। শর্করাজাতীয় খাদ্য আমাদের রক্তে দুর্গন্ধ তৈরির জন্য দায়ী কিটোন বডি তৈরি করে।
• আমাদের শরীরের জন্য ফাইবার অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত কিছু যেমন ভালো নয় তেমনি এটিও অত্যধিক খেলে দেহে গ্যাসের সৃষ্টি করে। তাই ঠিকভাবে হজমের জন্য বেশি করে পানি খাওয়া উচিত।
• মাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু মাছে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী কোলেন আছে। যেমন টুনা মাছ, স্যামন মাছ। গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে এধরণের মাছ এড়িয়ে চলাই ভালো।
• শরীরের জন্য অ্যালকোহল ক্ষতিকর। অ্যালকোহল খেলে তা ঘামের সাথে মিশে বেরিয়ে আসে। যার ফলে শরীরে এবং মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
• গবেষণা বলে, দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো বের হতে না পেরে শরীরে দুর্গন্ধ তৈরি করে। তাই যথাসময়েই কাজটি সেরে ফেলুন।

সুস্থ ও সুন্দর থাকতে একটু সচেতনতাই যথেষ্ট।