আপনার ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে না তো!

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি এতো বিস্তৃত হয়েছে যে আপনি চাইলেও প্রযুক্তির আশির্বাদকে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই জানেন, আজকাল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও প্রযুক্তির ব্যবহারই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। আপনার মোবাইলটি প্রতিদিন অনেক ব্যক্তিগত তথ্য আদান প্রদানে ব্যবহৃত হয় কিন্তু আড়ি পেতে এসব কথা যদি তৃতীয় কোন ব্যক্তি শুনে থাকেন তবে হুমকির মুখে পড়তে পারেন আপনি। তাই এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো এড়িয়ে যেতে যাচাই করুন নিজের মোবাইলফোনটি।

কিছু কোড ব্যবহার করে আপনি সহজেই জানতে পারেন কেউ আপনার ফোন ট্র্যাক বা ডাইভার্ট করে বা অন্য কোন উপায়ে আড়ি পাতছে কিনা।

*#২১#

অনেক সময় আপনার বাবা-মা বা পরিবারের কেউ আপনার ওপর নজর রাখতে আপনার ব্যক্তিগত মোবাইলের তথ্য ডাইভার্ট করে রাখতে পারে। এছাড়া পথে কোন অপরিচিত ব্যক্তি একটি ফোনকল করার জন্য সাহায্য চেয়েও বড় কোন বিপদ ঘটাতে এমন কাজ করতে পারে। কল বা মেসেড ডাইভার্টের মাধ্যমে অপরাধীচক্র সহজেই আপনার বাসার ঠিকানা, মেইল ঠিকানাসহ গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য সহজেই হাতিয়ে নিতে পারে।

এই কোডটি ডায়াল করে আপনি জানতে পারবেন আপনার ফোনকল, মেসেজ বা অন্য কোন তথ্য ডাইভার্ট করা আছে কিনা। যদি অন্য কোন নম্বরে কোন ডাটা ডাইভার্ট করা থাকে তবে এই কোড ডায়ালের পর যে নম্বরে ডাইভার্ট করা আছে সেটি সহ সমস্ত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।

*#৬২#

আপনার মোবাইল নম্বরটি অন্য কোথাও রিডিরেক্ট করা থাকলে আউটগোয়িং এবং ইনকামিং ভয়েসকল, মেসেজসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে যাবে অনাকাঙ্খিত নম্বরে। এই নম্বরটিতে ডায়াল করলে জানা যাবে মোবাইল নম্বরটি কোথাও রিডিরেক্ট অর্থাৎ পুন:নির্দেশিত করা আছে কিনা। যদি থাকে তবে সেই ফোন নরম্বরসহ সকল তথ্য জানিয়ে দেবে একটি মেসেজ। 

##০০২#

শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বের সকল মোবাইল ফোন অপারেটরে কার্যকর নম্বর ##০০২#। এই নম্বরে ডায়াল করলে বাতিল হয়ে যাবে রিডিরেক্ট। 

*#০৬#

এই নম্বরের সাহায্যে আপনি ফোনের আইএমইআই কোড জানতে পারবেন। আইএমইআই হচ্ছে মূলত প্রতিটি ফোনের একটি নিজস্ব কোড যা ওই ফোনটির পরিচয় বহন করে। এই কোডের সাহায্যে আপনি ফোনের মডেল, ভার্সনসহ সব ধরণের তথ্য জানতে পারবেন। শুধু তাই নয়, আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে বা চুরি-ছিনতাই হলে এই কোডটির মাধ্যমে ফোনটি ফেরত পাওয়া সম্ভব। তাই নিজের ফোনের আইএমইআই কোড জেনে রাখুন। 

এছাড়া মোবাইলফোন ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সুরক্ষিত হতে সচেতন হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। ব্যক্তিগত তথ্য কতোটুকু সকলের জন্য উন্মুক্ত করা উচিত এই বিষয়টি বুঝতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের ছবি কখনোই দেয়া উচিত নয়। এছাড়া সার্বক্ষণিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অবস্থান জানানো থেকে বিরত থাকুন। আর স্মার্টফোনের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই একটি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। 

সচেতন হয়ে তালে তাল মিলিয়ে চলুন তথ্য ও প্রযুক্তির এই বিস্ময়কর যুগে।