খুব বেশি দিন হয়নি থ্রি-জি গতির ইন্টানেটের বয়স। ১৯৮০র দশকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা থ্রি-জি প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়। উদ্ভাবনের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় পঞ্চাশটি দেশে ইন্টারনেট পরিচালিত হচ্ছে এই প্রযুক্তিতে। থ্রি-জি সেবা সমগ্র পৃথিবীতে বিস্তৃত হওয়ার আগেই প্রযুক্তিবিদরা নিয়ে আসেন আরো দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা ফোর-জি। বর্তমানে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এই ফোর-জি গতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) ফোর-জি টপকে ফাইভ-জি গতির ইন্টারনেট আনার চূড়ান্ত ঘোষণা জানিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সানদিয়াগোতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় আইটিইউ। এবং সম্মেলনে ১২ সদস্যদলের একটি দল এই ফাইভ-জি নিয়ে একটি খসড়াও তৈরি করেন। এই খসড়াতে পুরো পৃথিবীকে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে আইটিইউ মুখপাত্র মিডিয়াকে জানান, এটি একটি দীর্ঘমেয়দী পরিকল্পনা। আমরা চাচ্ছি চলতি মাস থেকেই ফাইভ-জি নিয়ে কাজ করতে। চলতি বছরের অক্টোবরে বিশ্বের ১৯৩টি টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনায় বসা হবে। সেখানে যদি সবাই ফাইভ-জি নিয়ে ঐক্যমতে আসে তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই পৃথিবী উপভোগ করতে পঞ্চম প্রজন্মের গতির ইন্টারনেট।

উল্লেখ্য, বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে যে ফোরজি গতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি চালু আছে সেটি সর্বোচ্চ ১জিবিপিএস পর্যন্ত স্পিড দিতে সক্ষম হয়। আর ফাইভজি প্রযুক্তির ইন্টারনেটের গতি হবে এ স্পিডের প্রায় বিশগুন বা এক টেরাবাইট।

 

আপনি আরো পড়তে পারেন

ফে‌সবুকের 'বেস্ট ফ্রেন্ড' জানিয়ে দেবে প্রিয় বন্ধুর আপডেট

রোজা উপলক্ষ্যে গুগলের ‘মাই রামাদান কম্প্যানিয়ন’

ডাটা খরচ কমাতে আসছে 'অপেরা ম্যাক্স'

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.