সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে পশু পাচার ও বেআইনি ব্যবসা বন্ধে উদ্যোগ নিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে 'থাইল্যান্ডের একদল পশু ব্যবসায়ী ও পাচারকারী বন্যপ্রাণী পাচারের কাজে ফেসবুককে ব্যবহার করছে' এমন সংবাদের পর ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ff

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৫০০টিরও বেশি জীবন্ত পশুর তালিকা ফেসবুকে বিক্রয়ের জন্য তুলে ধরা হয়েছে- যেসব প্রাণী ক্রয়-বিক্রয় করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পাচারকারীদের একজন বিবিসিকে জানান, এসবের মধ্যে এমন অনেক প্রাণী বা পাখি আছে যা শিকার বা ক্রয়-বিক্রয় আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ হলেও, দেশিয় আইনে নিষিদ্ধ নয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পশুর অবৈধ ব্যবসা ও পাচার চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

বিবিসির হাতে আসা ওই তালিকাটি ২০১৬ সালে পাচারের সাথে যুক্ত এমন ১২টি ফেসবুক গ্রুপ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তালিকায় প্রায় ২০০ প্রজাতির পশু দেখা যায়। যার মধ্যে ২টি বিদেশি পশুও ছিল- যা আন্তর্জাতিক আইনে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। ওই দুটি পশু হচ্ছে, ইউরশিয়ান বিড়াল ও কালো স্পট কচ্ছপ।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিপন্ন ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ এমন পশুর বাণিজ্য ফেসবুক অনুমোদন করে না।

গ্রুপগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়ছে

অনুসন্ধানে দেখা যায়, অবৈধ পশু বাণিজ্যের সাথে যুক্ত এসব ফেসবুক গ্রুপের সদস্য সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে সদস্য সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণে পরিণত হয়েছে। যেমন একটি গ্রুপে ২০১৬ সালে সদস্য সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার, ২০১৮ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজারে। এসব গ্রুপে জীবিত ও মৃত উভয় ধরণের পশুর বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। এমনকি পশুর বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন অঙ্গের বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়।

থাইল্যান্ডের বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন অনুসারে, বিজ্ঞাপনে দেখানো পশুর প্রায় ৪৭ শতাংশ বেআইনি। পাশাপাশি বিদেশি পশু ক্রয়-বিক্রয় করা থাইল্যান্ডের আইনে এমনিতেও নিষিদ্ধ।

ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানান, ফেসবুকে পশু পাচার রোধে তারা সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, 'অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ফেসবুক থেকে এসব ক্ষতিকর জিনিস সরিয়ে নেব।'

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডাব্লিউডাব্লিউএফ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাথ লসন বলেন, অনলাইনে পশু পাচার ও বেআইনি বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অফলাইনে এসব অপরাধ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে পারলেও, ডিজিটাল জগতে তা আমরা করতে পারিনি।

তার মতে, এই বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিকভাবে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও বন্যপ্রাণী থেকে উৎপাদিত পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.