ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার বিএনপি নেতার মুক্তি দাবি করেছে স্থানীয় হিন্দুরা। এর আগে স্থানীয় হিন্দু বাড়িতে নাশকতার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে দত্তপাড়া থেকে আমিরুল হোসেন চকদারকেআটক করে পুলিশ।
পরদিন সকালে আমিরুলকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন দেব, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত এবং সাধারণ সম্পাদক হরিপদ পোদ্দার নাসিরনগর থানায় গিয়ে তার মুক্তি দাবি করেন।
হিন্দু নেতারা বলেন, আমিরুল হিন্দু বাড়িতে হামলা নয় বরং হামলার দিন তাদের পাশে থেকে সাহায্য করেছিল। সে তাদের বাড়িঘর হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে বলে জানায় তারা।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত জানান, বিএনপি নেতা আমিরুল তার প্রতিবেশী। আমিরুল ঘটনার দিন জ্যোতি দত্তের বাড়ি রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি বুঝতে পারছেন না, পুলিশ কেন বিএনপি নেতাকে আটক করেছে। স্থানীয় হিন্দু নেতা হরিপদ পোদ্দারও জ্যোতি দত্তের সাথে একমত পোষণ করেন।
উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান অঞ্জন দত্ত জানান, জনগণের রাজনীতি করেন তাই জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে আমিরুলকে ছাড়িতে নিতে থানায় গিয়েছেন।
তবে এলাকাবাসির দাবি উপেক্ষা করে বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমিরুলের বড় ভাই কামরুল চকদার।
নাসিরনগর থানার ওসি আবু জাফর দাবি করেন, ৩০ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে আমিরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাংবাদিকরা ভিডিও ফুটেজে দেখতে চাইলে আগের দাবি থেকে সরে এসে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।