অবশেষে চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট

নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে দেশে চালু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত প্রযুক্তি নির্ভর ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট। আগামী বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার রাজধানীর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘ই-পাসপোর্ট ভবন ও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন সংক্রান্ত’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিস থেকে নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে দেশের সব জায়গায় এই সুবিধা চালু করা হবে।

ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গাানাইজেশনের তথ্য মতে, বর্তামানে বিশ্বের ১০০টি দেশে এই ই-পাসপোর্টের ব্যবহার চালু রয়েছে। এটি আগের মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) চেয়ে অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের জুলাই মাসে। কিন্তু তখন বিভিন্ন জটিলতার কারণে এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে দেশে ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট নিয়ে কাজ করছে বিখ্যাত জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইস। তাদের কারিগরি সহায়তায়ই চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। প্রযুক্তি নির্ভর এই পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ৫ থেকে ১০ বছর।

এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। ই-পাসপোর্টের একটি পেইজে দৃশ্যমান থাকবে ব্যবহারকারীর বায়োগ্রাফিক্যাল তথ্য। আরেকটি পেইজে থাকবে ইলেকট্রনিক চিপ সমৃদ্ধ ডিজিটাল নিরাপত্তা ফিচার। যার মাধ্যমে পাসপোর্টের অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।