গ্রামের চেয়ে ঢাকার তাপমাত্রা বেশি

নগরায়ণ ও ক্রমবর্ধমান শিল্পকারখানার কারণে দেশের শহরগুলোর তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা প্রায় সাড়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস), অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের এক যৌথ গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর বিস মিলনায়তনে গতকাল রোববার ‘ঢাকা শহরের উত্তাপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে অভিযোজন: টেকসই উন্নয়নের ওপর প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। গবেষণার মূল ফলাফল তুলে ধরেন কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আশরাফ দেওয়ান ও বিসের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির।

গবেষণায় বলা হয়, ঢাকায় মোট আয়তনের মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ এখন সবুজ এলাকা হিসেবে টিকে আছে। বাকি ভূখণ্ড নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। শহরে মোট ২১৮টি মাঠ ও ১০৩টি ঘাস আচ্ছাদিত উন্মুক্ত এলাকা রয়েছে। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ঢাকায় রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো এত বড় সবুজ এলাকা আর তৈরি করা হয়নি। বরং একের পর এক জলাশয় ভরাট করে বসতি এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে।

ঢাকার তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে এ সসয় বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। বহুতল ভবনের ছাদ ও বারান্দায় গাছ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। পরিকল্পিত নগরায়ণ ও সবুজ এলাকা ও জলাভূমি রক্ষায় আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার তাগিদও দেওয়া হয়।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় বহুতল ভবনের ছাদ ও বারান্দায় গাছ লাগানোর পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিত নগরায়ণ ও সবুজ এলাকা ও জলাভূমি রক্ষায় আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শামসুল আলম, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ইকাড) পরিচালক সালিমুল হক, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান ও নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তৌহিদা রশিদ, বিসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম ও কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুহুল সেলিম প্রমূখ।