আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধনের প্রক্রিয়াকে বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে বিটিআরসি সিম নিবন্ধনের যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তা আরো বেগবান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনিবন্ধিত মোবাইল সংযোগ ব্যবহার করে অসংখ্য অপরাধ সংগঠিত হওয়ার নজির রয়েছে। যা আরো বেড়ে যাচ্ছিলো আশঙ্কাজনক হারে। এ ছাড়া অনিবন্ধিত সংযোগ ব্যবহার করে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসাও বেড়ে চলছিলো। এই ব্যাপারগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই মূলত আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয় মোবাইল অপারেটরদের।
এ দিকে সিম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে আঙুলের ছাপ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেয়া কতোটা নিরাপদ এ নিয়ে সজাগ হন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সচেতন নাগরিকরা। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে আঙুলের ছাপের মতো স্পর্শকাতর বিষয় তুলে দেয়া ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
এরই এক পর্যায়ে গত নয় মার্চ আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধনের সিদ্ধান্তের বৈধতা জানিয়ে আদালতে রিট আবেদন করেন জনৈক আইনজীবী। পরে ১৪ মার্চ হাইকোর্ট আঙুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ নয় তা জানতে রুল জারি করেন। আদালত বিটিআরসি চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ১৩জনকে এই রুলের জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন।
এরপরই মূলত আজকের রায় এলো। এ রায়ে মোবাইল অপারেটরদের আঙুলের ছাপের অবৈধ ব্যবহারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছে জনগণের আঙুলের ছাপ উচ্চ নিরাপত্তায় সংরক্ষণ করতে।