ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাতে শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এ বছর এর আগেও একাধিকবার অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের আকস্মিকতায় আমরা বুঝতে পারি না কী করা উচিত। অথচ একটু সজাগ থাকলেই কিন্তু বড় বিপদ থেকে বাঁচা যেতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে ভূমিকম্পের সময় আমাদের করণীয় কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু ভূমিকম্পের কোনো পূর্বাভাস দেয়ার যন্ত্র নেই, তাই নিজেদের সতর্কতা ও সচেতনতাই হচ্ছে একমাত্র ভরসা। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক ভূমিকম্পের সময় আমাদের করণীয় কাজগুলো
বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্প শুরু হলে আতংকিত না হওয়ার পরাপর্শ দিয়েছেন। ভূমিকম্পের সময় ঘরের মধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে বা টেবিল, আলমারি বা খাটের নিচে মাথার উপর বালিশা রেখে আশ্রয় নেয়ার পরাপর্শ দিয়েছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকলে ব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা টেবিলের নিচে অবস্থান করুন। পাশাপাশি অফিস-কারখানা-হাসপাতাল, মার্কেট প্রভৃতি স্থানে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি করা একেবারেই ঠিক না। এতে ঝুঁকির পরিমাণ বহুগুনে বেড়ে যায়। এ সময় সবচেয়ে বুদ্ধিমানরে কাজ হবে মাথার উপর হাত রেখে অফিসের ডেস্কের নিচে বা নিরাপদ স্থানে স্থির হয়ে থাকা।
একবার ভূকম্পন হয়ে গেলে কিছুক্ষণের ভেতরে আরও একবার হওয়ার আশংকা থাকে। তাই অযথা সময় নষ্ট না করে খালি জায়গাতে আশ্রয় নিতে হবে। কোন বিল্ডিং এর ওপরের তলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কম্পন থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান অধিক নিরাপদ।
বাসায় চুলা জ্বালানো থাকলে তা বন্ধ করে নিতে হবে। এছাড়াও বাসায় বহুতল ভবনের লিফট থাকলে ভূমিকম্পনের সময় সেটি একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। জানালার পাশে দাঁড়ানো যাবে না।
ভুমিকম্পে দেয়ালে চাপা পড়লে কোনোরকম নড়াচড়া করা একেবারে উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে যথাসম্ভব নাক-মুখ হাত দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। শ্বাসনালিতে যেন কোন প্রকার ধুলাবালি প্রবেশ না করে। এছাড়াও রাস্তায় ভূকম্পনের সময় যানবাহনে চলাচল অবস্থায় থাকলে তার ইঞ্জিন বন্ধ করে খোলা জায়গায় গাড়ির ভেতর অবস্থান করতে হবে। এতে ভুমিকম্প হলেও অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদ থাকা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।