করোনায় চিকিৎসক-প্রযোজকের মৃত্যু

মরণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন আরো এক চিকিৎসক ও এক প্রযোজক। মৃত চিকিৎসকের নাম মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। অন্যদিকে, বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক সময়ের জনপ্রিয় প্রযোজক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লার বাবা।

ডা. নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ (ডানে)

জানা যায়, ডা. মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান। এ নিয়ে করোনায় চট্টগ্রামে ১২ চিকিৎসকের মৃত্যু হলো। তিনি চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।

হাসপাতালটির উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হন ডা. নজরুল ইসলাম। পরে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। তিনি করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

ডা. মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জনপ্রিয় প্রযোজক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ। ৭৭ বছর বয়সী এ অনুষ্ঠান প্রযোজকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম।

এর আগে মঙ্গলবার ভোররাতে বিজরী বরকতুল্লা ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তার বাবার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি জানান। মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর আরেক সন্তান কাজরী। আর তার স্ত্রী নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতউল্লাহ।

মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাড়া জাগানো ধারাবাহিক ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘ঢাকায় থাকি’ ও ‘সকাল সন্ধ্যা’ প্রযোজনা করেন। এ ছাড়া চ্যানেল ওয়ান ও বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।