আপনি পড়ছেন

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ স্তর হলো প্রাথমিক শিক্ষা। আর প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই)। কিন্তু সেই শিক্ষক গড়ার কারিগরদের অবস্থাই ভালো নয়। বছরের পর বছর ধরে একই পদে চাকরি এবং উচ্চপদ খালি থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না পাওয়ায় হতাশা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন পিটিআই ইন্সট্রাক্টররা। ফলে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

pti dhakaপিটিআই কার্যালয়, ঢাকা

বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতির মহাসচিব মো. সেলিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এসব কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এডিজি-৪) আলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে প্রথমেই আমাদের ভাবতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে। কারণ প্রাথমিক শিক্ষা হল সকল শিক্ষার ভিত্তি। মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক। আর বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষক তৈরির কাজটি করে থাকে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই)।

পিটিআই জানায়, ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শুরু করে বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৭টি পিটিআই নানাবিধ সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষক তৈরির কাজটি নিরবচ্ছিন্নভাবে করে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ পথ চলায় পিটিআই কর্মকর্তাদের প্রাপ্তি যেমন রয়েছে তেমিন না পাওয়ার বেদনাও কম নয়। উচ্চতর পদের স্বল্পতার কারণে দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত থাকা পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের প্রধান একটিসমস্যা। এমনকি কোনো কোনো পিটিআই ইন্সট্রাক্টরকে সমগ্র চাকুরিজীবনে কোনো প্রকার পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যেতে হয়, যা খুবই দুঃখজনক।

directorate of primary educationসবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক সময় প্রতিটি পিটিআইতে ইন্সট্রাক্টর সংখ্যা ছিল ১০ জন। প্রশিক্ষণের পরিধি ও প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তীতে সে সংখ্যা করা হয় ১২ জন এবং বর্তমানে প্রতিটি পিটিআইতে ইন্সট্রাক্টর সংখ্যা ১৭ জন। বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনের তাগিদে পিটিআইতে ইন্সট্রাক্টর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হলেও উচ্চতর পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে পিটিআইতে ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির সুযোগ ক্রমেই সংকোচিত হতে থাকে। এ জন্য পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল- পিটিআইতে সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট পদের সংখ্যা বাড়ানো।

এতে বলা হয়, পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের দীর্ঘদিনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সম্প্রতি বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার দেশের ৬৬টি পিটিআইতে ২য় সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট পদ সৃজন করে, যা প্রাথমিক শিক্ষার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। দীর্ঘ প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় অপেক্ষার পর সিনিয়র সচিব মহোদয় এবং বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতির আন্তরিক প্রচেষ্টায় পিটিআইসমূহে ২য় সহকারী সুপারিনটেনডেন্টের যে পদ সৃষ্টি হয়েছে তা বর্তমান সরকারের একটি সাফল্য।প্রচলিত নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী দীর্ঘ ২৬ বছর পদোন্নতি বঞ্চিত পিটিআই ইন্সট্রাক্টরগণকে এ পদগুলোতে পদায়ন করা খুবই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত বিষয়।

কিন্তু ৬৬টি সহকারী সুপারের জিও জারিসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নবসৃষ্ট সহকারী সুপারের পদসহ ১০১টি শূন্য পদের মধ্যে ৬৮ জনকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়। অজ্ঞাত কারণে বাকি ৩৩টি পদে পদায়ন করা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, নিয়োগবিধি বহির্ভূত ২০০৫ সালে প্রজেক্ট থেকে রাজস্ব খাতে আত্মীকৃত এবং ২০১২ সালে নিয়মিতকরণ করা হয় যারা মূলত ১৭ বছরের জুনিয়র, তাদের জন্য পদ সংরক্ষণ করা হচ্ছে যা আদৌ বিধিসম্মত নয়। পদগুলোতে পদায়ন না করায় একদিকে পিটিআই ইন্সট্রাক্টরগণের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে, অন্যদিকে সরকারের এ সাফল্যটি দৃশ্যমান হচ্ছে না, যা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।

পিটিআইতে ২য় সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট পদ সৃষ্টি হওয়ার ফলে দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের মধ্যে একটি প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নবসৃষ্ট এই পদে দ্রুত পদায়ন হলে ইন্সট্রাক্টরগণ নতুন উদ্যমে কাজ করার প্রেরণা পাবেন, যা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে তথা বর্তমান সরকারের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

প্রেস নোটে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, আমরা প্রত্যাশা করছি, সিনিয়র সচিব মহোদয় মহাপরিচালক মহোদয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে পিটিআই ইন্সট্রাক্টরগণকে পদোন্নতি প্রদান করে দীর্ঘ দিনের হতাশা থেকে মুক্তি প্রদান করবেন।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.