মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি কিংবা হস্তান্তর করা যাবে না, এই মর্মে আদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি রুল জারি করে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা যুদ্ধে কী পরিমান অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তার মধ্যে কী পরিমান এখনো আছে, কোথায় এবং কীভাবে আছে- তার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব বের করতে হবে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে।
মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি করে দিতে চায় সরকার, গত ৫ অক্টোবর গণমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাদের যুক্তি হচ্ছে, এগুলো পুরনো এবং অকার্যকর। কিন্তু সরকারের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে আদালতে একটি রিট করা হয় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। সেই রিটের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিলো আদালত।
পাশাপাশি একটি রুলও জারি করা হয়েছে। যাতে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেনো এসব অস্ত্র ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা হবে না? জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হয়ে পড়া এসব অস্ত্র বিক্রি কিংবা হস্তান্তর কেনো অবৈধ হবে না? অবিলম্বে কেনো এসব অস্ত্র সংরক্ষণে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে না? ৪ সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে প্রতিরক্ষাসচিব, অর্থসচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাণিজ্যসচিবকে।