পাসপোর্ট-ভিসা ইস্যু: ৯ দেশ ভ্রমণে যেতে চায় সংসদীয় কমিটি!

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা ইস্যু কার্যক্রম দেখতে ৯টি দেশে যেতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এই কার্যক্রম আরো গতিশীল ও কার্যকর করার বিষয়ে বিস্তৃত ধারণা নিতে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সদস্যদের সফরের পরিকল্পনা করেছে মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে ৯টি দেশে ১৫টি মিশনে পাসপোর্ট ও ভিসা ইস্যু কার্যক্রম চলছে। দেশগুলো হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কুয়েত ও কাতার।

বলা হচ্ছে, মন্ত্রণালয়ের অর্থে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের এমন বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও নতুন ভ্রমনের এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাস্তবায়িত হবে বলে জানানো হয়।

জানা গেছে, বিদেশ সফরের ব্যবস্থা করতে গত আগস্টের এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। নভেম্বরের আরেকটি বৈঠকে সংসদীয় কমিটিকে বিষয়টির অগ্রগতির বিষয়ে জানায় মন্ত্রণালয়।

চলমান করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মিশনগুলোতে পাসপোর্ট ও ভিসা ইস্যু কার্যক্রমও স্বাভাবিক হবে। তখন এ কার্যক্রম পরিদর্শনের পরিকল্পনা করার কথা জানানো হয়।

স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও পাবনা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু জানান, বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই মুহূর্তে এটির দরকার নেই বলে বৈঠকে আমি বলেছি।

বিদেশি মিশনে প্রবাসীদের সেবার তথ্য টেলিফোনে পাওয়া যায় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কখনো কখনো প্রক্রিয়াটি সরাসরি দেখার অভিজ্ঞতা বেশি কার্যকর।

জাতীয় সংসদ বিধিমালা বলছে, সংসদীয় কমিটির কাজ হচ্ছে- সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা, অনিয়ম ও অভিযোগের তদন্ত এবং বিল বা সংসদের পাঠানো বিষয়গুলো পরীক্ষা করা।

এ জন্য মন্ত্রণালয়ের অর্থে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের বিদেশ সফর নিরুৎসাহিত করছে সরকার। ২০১৬ সালে স্পিকারকে লেখা এক চিঠিতে তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছিলেন, এ ধরনের বিদেশ সফরে সরকারের আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বিদেশ ভ্রমণের সুপারিশ যুক্তিসঙ্গত নয় বলে মনে করেন সংসদ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নিজামুদ্দিন আহমেদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক বলেন, তদন্ত বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সফর হলে যৌক্তিক ছিল।