বিশেষ অ্যাপে হবে টিকাগ্রহীতার তালিকা

বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যেই পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কর্মসূচি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশে বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই কোভিড টিকার প্রথম চালান আসছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তাই কীভাবে, কখন, কোথায় টিকা দেয়া হবে কিংবা টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে কারা অগ্রাধিকার পাবেন তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টিকাগ্রহীতার তালিকা তৈরির জন্য শিগগিরই একটি অ্যাপ প্রকাশ করতে যাচ্ছে সরকার।

জানা গেছে, টিকা পেতে হলে আগে এই অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নাম, বয়স, পেশা, এলাকার পাশাপাশি দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর। পরে যাছাই-বাছাই শেষে ওই অ্যাপেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তালিকায় উল্লেখ থাকবে- কে, কখন, কোথায় গিয়ে টিকা গ্রহণ করবেন।

সবাই আগে টিকা নিতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেই দিকটি বিবেচনায় নিয়ে দেশের সব জনগোষ্ঠিকে ১৮টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কেউ চাইলেই যখন ইচ্ছে তখন টিকা নিতে পারবেন না।

তালিকার এক নম্বরে আছে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা, এমনকি তিনি যদি সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকও হয়ে থাকেন। দ্বিতীয় নম্বরে থাকবেন বেসরকারি ও স্বতন্ত্র স্বাস্থ্যকর্মীরা। তৃতীয় ধাপে টিকা পাবেন স্বাস্থ্য প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কর্মীরা। চতুর্থ ধাপে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পাঁচ নম্বরে টিকা পাবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পরিকল্পনার ষষ্ঠ ধাপে আছেন প্রতিরক্ষা তথা সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বর্ডার গার্ড, কোস্ট গার্ড ও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যরা। সপ্তম ধাপে সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তালিকার অষ্টম নম্বরে আছেন সাংবাদিকরা। নবম ধাপে জনপ্রতিনিধিরা। দশম স্তরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মীরা। একাদশ ধাপে ধর্মীয় প্রতিনিধিরা। দ্বাদশ পর্যায়ে মৃতদেহ সৎকারে নিয়েজিত ব্যক্তিরা।

১৩তম পর্যায়ে থাকবেন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পয়ঃনিষ্কাশন কাজের সঙ্গে জড়িতরা। তালিকার ১৪ নম্বরে থাকছেন জল, স্থল ও বিমানবন্দরে কর্মরত ব্যক্তিরা। ১৫, ১৬, ১৭তম অবস্থানে আছেন জেলা-উপজেলায় আবশ্যকীয় জনসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা। সবশেষ তথা ১৮ নম্বরে টিকা পাবে রোহিঙ্গারা।