দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আরো কমেছে। এই সময়ে ৬৮৪ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৯৯ জনের মৃত্যু হলো।
করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১৮০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫০৯টি। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ৪৯ হাজার ৪০২টি।
উক্ত সময়ের মধ্যে আরো ৬৮৪ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪ জন।
বাংলাদেশে করোনার নমুনা সংগ্রহ
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৭ হাজার ৫৯৯ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও নারী ৬ জন। ২৩ জনের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
একই সময়ে দেশে ৯৬৪ জন সুস্থ (হাসপাতাল ও বাসা মিলে) হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬২০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ২১ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে গত ২ জুলাই। ওই দিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
অন্যদিকে, দেশে করোনা রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর অর্থাৎ গত ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু ঘটে। এর মধ্যে গত ৩০ জুন ৬৪ জনের মৃত্যু হয়। যা এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৪ জন এবং রংপুর বিভাগে রয়েছেন ৩ জন। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুই জন করে মোট চার জন এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে এক জন দুই জন রয়েছেন।